সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল একদা দাউদের অনুচর মাফিয়া ছোটা রাজনকে। ২০০১ সালে মুম্বইয়ের হোটেল ব্যবসায়ী জয়া শেট্টি হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে সাজা শোনালো বিশেষ আদালত। উল্লেখ্য, এর আগে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খাটছে একদা মুম্বইয়ের ত্রাস।
২০০১ সালে ৪ মে খুন হন সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের গোল্ডেন ক্রাউন হোটেলের মালিক জয়া শেট্টি। নিজের হোটেলের মধ্যে ঢুকে তাঁকে গুলি করে খুন করে দুই দুষ্কৃতী। তদন্তে জানা যায়, ছোটা রাজনকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়। পুলিশ জানতে পারে, মাফিয়াদের তরফে হুমকি মেলার পর পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল জয়াকে। তবে খুন হওয়ার ২ মাস আগে তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তে নেমে মুম্বই পুলিশ জানতে পারে এই হত্যা মামলায় সরাসরি যোগ রয়েছে রাজনের।
[আরও পড়ুন: একান্তে ধ্যান করবেন মোদি, নিরাপত্তায় ২ হাজার পুলিশ কর্মী, এলাহী আয়োজন বিবেকানন্দ রকে]
এর আগে এই মামলার শুনানিতে রাজনের এক সহযোগীকে বেকসুর খালাস করেছিল আদালত। তদন্তে জানা যায়, রাজনের নির্দেশে ৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে জয়া শেট্টিকে খুন করে সমীর অশোক মালিক। এই মামলায় অজয় মোহিতে, প্রমোদ ধোন্ডে এবং রাহুল পানসারেকে। এই হত্যাকারীদের আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বৃহস্পতিবার ‘মকোকা’ (মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অব অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট) আদালতের বিচারক এএম পাটিল তিহাড় জেলে বন্দি রাজনকে সেই খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিল।
[আরও পড়ুন: পোর্শেকাণ্ডের রাতে ফোন করেন পুণের পুলিশকর্তাকে, স্বীকার করেও ভিন্ন বয়ান পওয়ারের]
২০১৫ সালে রাজনকে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছিল দাউদের ডানহাত হিসেবে পরিচিত ছোটা রাজন। এর পর প্রত্যার্পণের মাধ্যমে ভারতে এনে নতুন করে তাঁর বিরুদ্ধে চলা সমস্ত মামলার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এর পর সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০১৮ সালে ছোটা রাজনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। জানা যায়, দাউদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে-র। এমনটাই সন্দেহ করেছিল ছোটা রাজন। দাউদের নির্দেশেই রাজনের বিরুদ্ধে সংবাদ লিখতেন জ্যোতির্ময়, বলেই মনে করত সে। এমনকী তাকে খুন করতে ডি-কোম্পানির চক্রান্তে মদত দিচ্ছেন ওই সাংবাদিক বলেও সন্দেহ ছিল রাজনের। ফলে জ্যোতির্ময় দেকে খতম করার নির্দেশ দেয় সে। এর পর ২০১১ সালে ১১ জুন মুম্বইয়ের পাওয়াই এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় ওই সাংবাদিক।