দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কন্য়াসন্তানের জন্ম দেওয়া 'অপরাধ'! সেই 'অপরাধে' স্ত্রীকে বাড়ি থেকে 'তাড়িয়ে' দিলেন স্বামী। এমনই অমানবিক অভিযোগ উঠেছে গড়িয়া এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। 'অবিচারে'র বিরুদ্ধে একমাসের সন্তানকে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বারুইপুর আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত যুবক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মাত্র এক বছর আগে গড়িয়ার বাসিন্দা নবকুমারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের তনুশ্রী হালদারের। কর্মসূত্রেই দুজনের পরিচয়। পরে সেই সম্পর্কে প্রণয়ে গড়ায়। তার পর দুই পরিবারের সহমতে দুজনের চারহাত এক হয়। বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। চাপ দিয়ে ২ লক্ষ টাকা পণও আদায় করে বলেও দাবি করেছেন তনুশ্রী। মাঝেমধ্য়ে তাদের মধ্যে অশান্তি হত। পরিবার এবং প্রতিবেশীরা অশান্তি থামাতেন। মীমাংসা করত তারা। তবে কন্যাসন্তানের জন্মের পর থেকে অশান্তির তীব্রতা বাড়ে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেন বলেও দাবি।
[আরও পড়ুন: আদালতে চলছে ট্রাম্পের বিচার, বাইরে গায়ে আগুন দিলেন যুবক!]
তনুশ্রীদেবী জানান, অত্যাচারে বেড়ে যাওয়ায় মাত্র ২১ দিনের কন্যাসন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন তিনি। শেষমেশ একমাসের সন্তানকে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নবকুমারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও তাঁর দাবি, তিনি নির্দোষ। অভিযুক্তের কথায়, "আমার থেকে সাত লক্ষ টাকা চেয়েছিল। সেটা দিতে পারিনি। তাই এসব মিথ্যা বলা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।"