সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে রূপনারায়ণের মন ভোলানো রূপ৷ অন্যদিকে দামোদরে উচ্ছ্বাস৷ দুই মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে স্রোতস্বিনী গঙ্গায়৷ সঙ্গমের এই অতুলনীয় রূপ আরও মোহময়ী হয়ে ওঠে বর্ষামধুর দিনে৷ সাক্ষী থাকে সারিবদ্ধ বাবলা, শিরিষ, আকাশমণিদের দল৷
কী দেখবেন –
- প্রচারে আলোয় তেমন না পড়ায় এখনও একান্তে উপভোগ করা যায় গেঁয়োখালির সঙ্গমের সৌন্দর্য৷
- তিন নদীর জল এক জায়গায় এসে মিলিত হওয়ায় সঙ্গমস্থলটি অনেকটাই চওড়া৷ জোয়ারের সময় সাগরের মতো ঢেউয়ের দেখা পেতেই পারেন৷
- কাছেই আছে ফেরিঘাট৷ যেখানে পাবেন নৌকাবিহারের সুবিধা৷ দু’একটি ছোটখাটো জাহাজেরও দেখা মিলতে পারে৷
- পাশে সুন্দরভাবে গড়ে উঠেছে বাবলা, শিরিষ, আকাশমণি, আম গাছ৷ এদের মাঝেই নিতে পারেন দুই দণ্ডের বিশ্রাম৷
- বিকেলে সূর্যাস্তের ঝলক ভাষায় অবর্ণনীয়৷
- কাছেই মহিষাদল৷ হাতে সময় থাকলে বিখ্যাত মহিষাদল রাজবাড়ি ও রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরের দর্শন করে আসতেই পারেন৷
- আরও একটু এগিয়ে গেলেই কোলাঘাট৷ লং ড্রাইভের শৌখিনদের আদর্শ স্থান৷
কীভাবে যাবেন –
সড়কপথে গেলে ধর্মতলা থেকে নূরপুরগামী বাস ধরতে হবে৷ সেখানে নেমে ধরতে হবে লঞ্চ৷ কোলাঘাট থেকে হলদিয়ার দিকে গাড়ি ছোটালেও মেলে গেঁয়োখালির সন্ধান৷
রেলপথে গেলে নামতে হবে বাগনান স্টেশনে৷ সেখান থেকে অটোরিক্সা ধরে গাদিয়ারা৷ গাদিয়ারা থেকে নৌকো ধরে পৌঁছান যাবে গেঁয়োখালি৷
কোথায় থাকবেন –
বেশিরভাগ লোকজন পিকনিক করতেই যান৷ তবে হাতে অবসর থাকলে গেঁয়োখালি রিসর্টে থাকতেই পারেন৷ থাকা খাওয়ার সবরকম সুবিধাই রয়েছে এখানে৷
The post সঙ্গমের সৌন্দর্যে সেজে উঠেছে গেঁয়োখালি appeared first on Sangbad Pratidin.