সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভারত শান্তির পক্ষে। এই যুদ্ধে কেউই জয়ী হবে না।’ সোমবার জার্মানিতে এমনটাই বার্তা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন বার্লিনে জার্মান চান্সেলর ওলাফ শোলৎজের সঙ্গে বৈঠকে ভারত যে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর পক্ষে সেই কথাই স্পষ্ট করে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, জি-৭ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে জার্মানি। সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়াকে একঘরে করতে ভারতকে পাশে চাইছে বার্লিন। আর তাই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ।
[আরও পড়ুন: বহুমূল্য BMW গাড়ি থেকে উপহারের বন্দুক, সরকারি সম্পত্তি হাপিশ করেছেন ইমরান খান!]
সোমবার ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে প্রথম বিদেশ সফরে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনদিনের ইউরোপ সফরে জার্মানি, ডেনমার্ক ও ফ্রান্সে একাধিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন কর্মসূচির শুরুতে বার্লিন পৌঁছে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে জি-৭ বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে শামিল হওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছেন শোলৎজ। কারণ, আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়াকে একঘরে করতে ভারতকে পাশে চাইছে বার্লিন।
এবার জি-৭ শীর্ষ বৈঠকের আয়োজক দেশ জার্মানি। জুনের ২৬ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত আল্পস পর্বতমালায় ঘেরা বাভারিয়ায় বৈঠকে বসবেন কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা। এছাড়া, পর্যবেক্ষক হিসেবে সেনেগাল, ইন্দোনেশিয়া ও সাউথ আফ্রিকার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানাবে জার্মানি বলেও খবর। সূত্রের খবর, শুরুর দিকে জি-৭ বৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে সংশয়ে ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি নয়াদিল্লি। মস্কোর উপর বলবৎ আমেরিকা ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞাও মানেনি নয়াদিল্লি।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের কাছে সমালোচিত হতে হয়েছে জার্মানিকেও। এখনও প্রাকৃতিক শক্তির বিষয়ে রাশিয়ার উপরে নির্ভরশীল জার্মানি। এবিষয়ে অবশ্য বার্লিনের যুক্তি, ইতিমধ্যেই এবিষয়ে রাশিয়া-নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। কিন্তু দেশের কলকারখানা চালাতে এখনও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের রুশ তেল আমদানির প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে পারেন জার্মান চ্যান্সেলর বলেও খবর। তবে ভারতের মতো বিশাল অর্থনৈতিক শক্তির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোয় আগ্রহী তিনি। একইসঙ্গে, রাশিয়াকে সরিয়ে ভারতের অস্ত্রের বাজার ধরতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শোলৎজ।