সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের (Stormy Daniels) পর প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন লেখিকা ই জিন ক্যারল। সেই মামলাও উঠেছে আদালতে। একের পর এক অভিযোগে জেরবার ট্রাম্প। এবার মেজাজ হারিয়ে এক সাংবাদিককে লাথি মারার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। ব্যক্তিগত বিমানে এই কাণ্ড ঘটান ট্রাম্প। এইসঙ্গে চিৎকার করে বলেন, “ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন আপনারা।”
ফক্স নিউজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গত ২৫ মার্চের। টেক্সাসের একটি প্রচারসভা থেকে ব্যক্তিগত বিমানে ফিরছিলেন ট্রাম্প। বিমানেই তাঁর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন এনবিসি নিউজের সাংবাদিক ভন হিলইয়ার্ড। পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসের অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভনের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন তিনি। ভন বলেছিলেন, “আপনাকে হতাশ দেখাচ্ছে।” উত্তর ট্রাম্প বলেন “হতাশ নই আমি। কোনও অন্যায় করিনি।” চিৎকার করেন, “তোমার সঙ্গে কথা বলব না। তুমি ভাল লোক না।”
[আরও পড়ুন: ‘তোমরা প্রধানমন্ত্রী হতে চাও না?’ ভোটমুখী কর্ণাটকে শিশুদের প্রশ্ন মোদির]
এরপরেও ভন প্রশ্ন করতে গেলে ভনের ফোন কেড়ে নেন ট্রাম্প। নিরাপত্তারক্ষীদের বলেন, “এই লোকটাকে এখান থেকে বের করে দাও।” এমনকী ওই সময় রাগের মাথায় ভনকে লাথি মারেন বলেও অভিযোগ। যদিও এনবিসি নিউজের সাংবাদিক এই বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাননি। গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ট্রাম্প এবং সাংবাদিকের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায়।
[আরও পড়ুন: ‘জনতার ইস্যু নিয়ে লড়ুক বিজেপি’, প্রচারে সাফাই কর্মীকে এনে কর্ণাটকে চমক প্রিয়াঙ্কার]
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ এনে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলস। অভিযোগ, পালটা অভিযোগের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও দায়ের করেন তিনি। ২০০৬ সালে এক গল্ফ ইভেন্টে স্টর্মি ওরফে স্টেফানি ক্লিফোর্ডের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। অভিযোগ, এরপরই তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ট্রাম্প। সেই সময় একটি ফিল্মে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন ক্লিফোর্ড। এর ঠিক একবছর পরেই মেলানিয়াকে বিয়ে করেন ট্রাম্প। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যানুসারে, ট্রাম্পের সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে ক্লিফোর্ড প্রথম মুখ খোলেন ২০১৬-তে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্লিফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিতে যায় ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মিখায়েল কোহেন। মুখ বন্ধ রাখতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দেওয়া হয় ওই পর্নস্টারকে।