shono
Advertisement

দৌড়ে বেড়ায় ভূতুড়ে পাথরের দল! আজও রহস্যময় আমেরিকার ‘মৃত্যু উপত্যকা’

কেউ বলে এলিয়েনের কাণ্ড, কারও মতে অপদেবতার কাজ।
Posted: 08:05 PM Feb 16, 2022Updated: 08:47 PM Feb 16, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকে বলে আমেরিকার (America) ডেথ ভ্যালিতে (Death Valley) আছে ভূতে পাওয়া পাথর। কেন বলে? যেহেতু এখানকার পাথর হাঁটতে পারে! বালির উপরে পাথরের দাগ দেখে মনে হয় বিরাট চেহারার পাথরগুলো একটু আগেই ছুটোছুটি করে এখন খানিক বিশ্রাম নিচ্ছে। মোদ্দা কথা, অ্যামেরিকার ডেথ ভ্যালির হ্রদ অঞ্চল রেসট্র্যাক প্লায়ার পাথরেরা কীভাবে যেন নিজে থেকেই স্থান পরিবর্তন করে! কীভাবে করে?

Advertisement

ডেথ ভ্যালি শুধু নামে না, বাস্তবেই মৃত্যু উপত্যকা! এখানে বছরের একটা সময় ভাল শীত পড়লেও এলাকাটি পরিচিত পৃথিবীর অন্যতম বিপজ্জনক উষ্ণ অঞ্চল হিসেবে৷ আবহাওয়া অফিসের নথি বলছে, ২০২০-র গ্রীষ্মে তাপমাত্র ছিল ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। উষ্ণতার গিনেস রেকর্ডও আছে ডেথ ভ্যালির। ১৯৩০ সালে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৩৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। যা এই পৃথিবীর রেকর্ডেড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর বছরের গড় তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ৷ বৃ্ষ্টি হয় না বললেই চলে৷ সব মিলিয়ে প্রাণহীন উপত্যকা৷ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাঁচার নূন্যতম রসদও নেই৷

বালি, কাঁকড়, পাথর, ন্যাড়া পাহাড় নিয়েই আমেরিকার ‘মৃত্যু উপত্যকা’। আর এই পাথরই চলমান! এক থেকে সাড়ে তিনশো কেজি ওজনের পাথর ১ হাজার ফুট দূর পর্যন্ত ছুটোছুটি করে। ডেথ ভ্যালির ঠিক কোথাও এই কাণ্ড ঘটে? জায়গাটা আসলে একটি জলশূন্য হ্রদ। নাম রেসট্র্যাক প্লায়া ৷ শুকনো হ্রদের বুকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ভূতুড়ে পাথরগুলো৷ বিস্ময়করভাবে যারা নিজে থেকে স্থান পরিবর্তন করে৷কখনও সরলরেখায়, কখনও বা বক্রাকারে৷ এমনও হয়, যে দুটি পাথর সমান্তরাল গিয়ে দিক পরিবর্তন করল৷ এমনকী পুরোনো অবস্থানেও ফিরে আসে কোনও কোনও পাথর। তারচেয়েও রহস্যের কথা, কেউ এই পাথরদের সরতে দেখেনি কখনও! কখন, কীভাবে যে কাণ্ড হয়?

[আরও পড়ুন: ভিলেন কি 5G? মেক্সিকোয় উড়ন্ত অবস্থায় মৃত্যু একঝাঁক পাখির, দেখুন ভিডিও]

আশ্চর্য প্রস্তরযাত্রা কেন, তার বহুরকম উত্তর মেলে। অনেকে মনে করেন, ডেথ ভ্যালির মাটির নিচে চৌম্বকক্ষেত্র আছে। কারো মত, এ হল গিয়ে ভিনগ্রহের প্রাণীর কাজ। মানুষকে ঘাবড়ে দিতে এলিয়েনরাই রাতের বেলায় এইসব কাণ্ড ঘটায়৷ অনেকে বলেন, অপদেবতার কাজ৷

এ তো গেল সাধারণ মানুষের কল্পনার দৌড়। ভূবিজ্ঞানীরাও নেমেছিলেন চলমান পাথরের রহস্য সন্ধানে৷ যদিও তাঁরাও সঠিক কারণে পৌঁছতে ব্যর্থ হন। এমনকী গ্রহবিজ্ঞানী ব়্যালফ লরেন্সও রেসট্রাক প্লায়া নিয়ে একবার গবেষণায় নেমেছিলেন, যদিও কৃতকার্য হননি। এরপর দিনের পর দিনে ডেথ ভ্যালিতে গিয়ে পড়ে থাকতেন বিজ্ঞানী এম স্ট্যানলি। শেষ পর্যন্ত তিনিই সত্যির কাছে পৌঁছান।

[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! টানা ১৪ মাসে ৭৮ বার করোনা আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড গড়লেন প্রৌঢ়]

তিনিই জানান, আসলে বছরের কোনও কোনও সময় ডেথ ভ্যালির পাহাড়গুলি থেকে বৃষ্টির জল গড়িয়ে নামে রেসট্র্যাক প্লায়াতে। তখন রেসট্র্যাক প্লায়া বাস্তবিক হ্রদ হয়ে ওঠে। তবে জলের উচ্চতা ৭-৮ মিটারের বেশি হয় না। এদিকে রাতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নামে। ফলে জল পাতলা বরফে পরিণত হয়ে প্রসারিত হয়। এই সময় বরফ ও বাতাসের তীব্র ঠেলায় সরতে থাকে রেসট্র্যাক প্লায়ার পাথরগুলি। সে এক ভূতুড়ে দৃশ্য বটে। বিরাট জায়গা জুড়ে ছুটোছুটি করে ছোট-বড় পাথরের দল!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার