সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়দিনের প্রাক্কালে ছুটির দিনে গড়ের মাঠে আয়োজিত হল ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’। গেরুয়া শিবির যতই এই আয়োজনকে সফল বলে দাবি করুক, তৃণমূল কংগ্রেস পালটা দিয়ে সাফ জানিয়ে দিচ্ছে, এই লোক দেখানো অনুষ্ঠানে লোক হয়নি।
রবিবার সকাল ১০টায় ব্রিগেড গ্রাউন্ডে (Brigade) অনুষ্ঠান শুরু হয়। মোট ২০টি আলাদা ভাগে ব্রিগেডকে ভাগ করা হয়। প্রতিটি ভাগে পাঁচ হাজার মানুষের জন্য গীতাপাঠের ব্যবস্থা করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ব্রিগেডে ভিড় জমান। গীতাপাঠে অংশ নেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ, নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল থেকে বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা।
বাংলার মাটিতে এহেন উদ্যোগ আরও বেশি করে হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ব্রিগেডের এই ভিড়ই বলে দিচ্ছে গীতার হাত ধরেই ঐক্যবদ্ধ হবে দেশ। এদিকে, গীতাপাঠে উপস্থিত দ্বারকার শঙ্করাচার্য বলে দেন, বাংলায় বিভাজনের ষড়যন্ত্র চলছে। এক হতে হবে।
এই গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও পরে জানা যায়, তিনি আসবেন না। তবে ব্রিগেডের কর্মসূচির জন্য আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মোদি। যেখানে তিনি লেখেন, “লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ আমাদের সামাজিক সম্প্রীতিকে আরও জোরদার করবে। দেশের উন্নয়ন-যাত্রার ক্ষেত্রেও যা আবশ্যক। লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ সকলের জন্য শান্তি নিয়ে আসুক।”
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, গীতাপাঠ অনুষ্ঠান সফল। রাজ্য বিজেপির সভাপতিও বলে দেন, এর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের কাজ এসব বলা। ওরা দুর্নীতি থেকে মাথা তুলতে পারছে না। গীতাপাঠ নিয়ে আর ভাল কী বলবে।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের আবহেই সমাবর্তন যাদবপুরে, উপাচার্যের উপস্থিতিতেও সার্টিফিকেট দিলেন প্রো ভিসি]
এর পালটা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলে দিচ্ছেন, “গীতাপাঠ অনুষ্ঠান ঘিরে আর্থিক অনিয়ম, দলবাজি, তোলাবাজির অভিযোগ উঠছে। আগে সেসব মেটাক বিজেপি। তারপর অনুষ্ঠান নিয়ে কথা হবে। আমরা গীতাকে সবাই সম্মান করি। কিন্তু ৩৭৫০ জন লোক নিয়ে এই লোক দেখানো নাটকের কোনও মানে নেই। লোক হবে না বলেই প্রধানমন্ত্রী নিজে আসেননি।”
এরপরই তিনি যোগ করেন, রোটি, কাপড়া, মাকানের রাজনীতি করতে পারছে না বলেই ধর্মের হাত ধরতে হয়েছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলে দেন, এদেশে মন্দির, মসজিদ, গির্জা সব আছে। সবকিছুকেই শ্রদ্ধা করা হয়। কিন্তু তাতে তো বেকারত্ব মেটে না। তাই তা নিয়ে রাজনীতি করাও চলে না।