সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হু হু করে কমছে সোনার (Gold) দাম। গত আগস্টে যেখানে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫৬ হাজার টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল, সেখানে মার্চে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি ১০ গ্রাম পিছু ৪৬ হাজার টাকায়। কিন্তু কেন? কেন মাস ছয়েকের মধ্যে এই হারে কমে গিয়েছে সোনালি ধাতুর দাম?
আসলে এর পিছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের অবদান। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনায় বিনিয়োগ কমতে শুরু করেছে আমেরিকায়। এর পিছনে কারণ, বন্ডের ক্ষেত্রে সুদের হার বেড়েছে। ফলে সোনা ছেড়ে বন্ড কেনাতেই প্রাধান্য দিচ্ছেন ক্রেতারা। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। এছাড়াও অন্য কারণ রয়েছে। এমনিতে গত বছর অতিমারীর কবলে পড়ে শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। সেই সময় সোনার দাম রাতারাতি বাড়তে শুরু করলে নাজেহাল হতে হয়েছিল খুচরো বিক্রেতাদের।
[আরও পড়ুন: রেডিও শো’য়ে মোদির মাকে অপমানজনক কথা, নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘Boycott BBC’]
আসলে তখন অনিশ্চয়তার কবল থেকে বাঁচতে সোনাতে বিনিয়োগই নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছিল। ফলে সোনার দিকে ঝুঁকছিলেন বিনিয়োগকারীরা। যার ফলে লাফিয়ে বেড়েছিল সোনার দাম। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ শেষে বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করে তখন ফের নজর সোনা থেকে সরে যায়। বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিবহুল, কিন্তু বেশি রিটার্ন মিলবে এমন বাজারের দিকে ঝোঁকেন। ফলে সব মিলিয়ে সোনার বাজার নিম্নমুখী।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে প্রতি ১০ গ্রামের হিসেবে সোনার দাম যেখানে ৪০ হাজারের আশপাশে ছিল, সেখানে মার্চ থেকে তা বাড়তে বাড়তে আগস্টে গিয়ে ৫৬ হাজারে পৌঁছে যায়। এরপরই শুরু হয় দাম কমার ট্রেন্ড। কিন্তু এই ট্রেন্ড কি বজায় থাকবে? দাম কি আরও কমতে পারে? তা অবশ্য মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। বিয়ের মরশুমে এমনিতেও সোনার চাহিদা বাড়ে। এছাড়াও বিনিয়োগের নিয়ম মেনে বাজারের ওঠাপড়া লেগে থাকে। সব মিলিয়ে সোনার বাজার আপাতত স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে রাতারাতি দাম খুব বেশি পরিমাণে বাড়া-কমার সম্ভাবনা হয়তো নেই।