সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রথম মহিলা পিএইচডি তিনি। ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জৈব রসায়নবিদ কমলা সোহনিকে (Kamala Sohonie) শ্রদ্ধা জানাল গুগল ডুডল (Google Doodle)। ভারতীয় বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম মহিলা ছাত্রীও ছিলেন দেশের প্রথম মহিলা গবেষক। ভারতীয় বিজ্ঞানীর জন্মবার্ষিকীতে এই উদ্যোগ নিয়েছে সুন্দর পিচাইয়ের সংস্থা।
শুধু এদেশ নয়, বিশ্বজুড়েও ছড়িয়ে আছে কমলার কৃতিত্ব। লড়াকু এই মহিলার নাম বারবার উঠে এসেছে বিশ্বের গবেষণাক্ষেত্রে। কমলা পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও। তাঁর খ্যাতির ঝুলিতে রয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার খেতাব। তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তাঁর অভিনব গবেষণার মাধ্যমেই।
[আরও পড়ুন : নিজের সৎকারে হাজির স্বয়ং মৃত ব্যক্তি! আজব ভিডিওয় শোরগোল নেটদুনিয়ায় ]
ছোট থেকে মেধাবী কমলার শখ ছিল বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার। তাঁর বাবা-মায়ের শিক্ষার সঙ্গেও ছিল রসায়নের যোগ। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ভারতবর্ষেও তিনি এগিয়েছিলেন বিজ্ঞান নিয়েই। একাধিক লড়াইয়ের পর জৈব রসায়ন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন কমলা। ১৯৩৯ নাগাদ পান পিএইচডি। সুলভ পানীয় ‘নীরা’র (Neera) প্রকাশ হয় তাঁর হাত ধরেই। গাছের রসে লুকিয়ে থাকা ভিটামিন সি-সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানের খোঁজ দেন কমলা। প্রত্যন্ত এলাকার অপুষ্ট শিশু, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সস্তার পানীয় উদ্ভাবন করেন এই মহিলা গবেষক।
[আরও পড়ুন : অস্বস্তির আর্দ্রতা থেকেই তৈরি হবে বিদ্যুৎ! তাক লাগানো পরিবেশবান্ধব আবিষ্কার]
ভারতের প্রথম মহিলা পিএইডি ডিগ্রির ধারক রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের কাছ থেকে পান পুরস্কার। বিদেশেও ডাক পড়ে কমলার। একাধিক প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু তাঁকেই পড়তে হয়েছিল সমস্যায়। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সিভি রমনের (CV Raman) বাধায় ভারতীয় বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে পড়ার সুযোগ পাননি তিনি! মহিলা বলে ভরতিতে আসে বাধা। অবশেষে শুরু হয় লড়াই। সিভি রমনের শর্তে ভরতি হতে হয় কৃতী এই ছাত্রীকে।
তবুও জয়ী হন তিনি। বারবার একাধিক প্রতিবন্ধকতার পরেও এগিয়ে যান নিজের মতো করে। আর সেই আবহেই জনতার মাঝে, বিজ্ঞান-দুনিয়ায় ব্যাপ্ত হয় তাঁর নাম। কমলা হয়ে ওঠেন অভিনব, অনন্য! আর সেই মৌলিক প্রতিভাকেই ১১২তম জন্মদিনে বেনজির শ্রদ্ধা জানাল গুগল।