নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আরজি করে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। টালমাটাল এই পরিস্থিতির মাঝেই সোমবার দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। তার আগে অবশ্য উপরাষ্ট্রপতি তথা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। অনুমান করা হচ্ছে, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিশদে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল।
সোমবার সন্ধেয় দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। তবে ঠিক কী কারণে তাঁর এই সফর রাজভবন থেকে তা স্পষ্ট করা হয়নি। এমনকী এই সফরে তিনি যে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারও কোনও পূর্বাভাষ ছিল না। যেটুকু শোনা যাচ্ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তবে মঙ্গলবার সকালে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তাঁর এই সফরে প্রাথমিক ভাবে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি এবং আর জি করের ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যপাল। এবং এই বিষয়ে সরাসরি তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডের পর রাজভবনে খোলা হয়েছে মোবাইল কন্ট্রোলরুম। যার নম্বর হল, 03322001641 এবং 92890 10682। যে কোনও রকম সাহায্যের জন্য এই নম্বরে ফোন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: RG Kar কাণ্ডের জের, চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় হাসপাতালগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের]
তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের তদন্তের মোড় ঘোরাতে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছে? সেই অভিযোগের সুর শোনা গিয়েছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের গলায়। তিনি বলেছিলেন, “আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাই হোক না কেন তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং লজ্জাজনক। সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকী ওই তরুণী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করে তদন্তের মোড় ঘোরানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে এই ঘটনাটি সঠিকভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি।”
[আরও পড়ুন: বিশ্বে দ্রুত ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স, বিমানবন্দর ও সীমান্তে সতর্কতা জারি কেন্দ্রের]
গত বৃহস্পতিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি জানিয়েছিলেন, “আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি আন্দোলনকারীরা সুবিচারের দাবিতে সরব। প্রায় প্রত্যেকে তাঁদের পাশে আছে। আমাদের উচিত তাঁদের সুবিচার পাওয়ার বন্দোবস্ত করা।” রাজ্যপালের সেই বার্তার পর এবার তাঁর দিল্লি সফর এবং রাষ্ট্রপতি সাক্ষাৎ যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।