বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিধায়ক পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেবেন বিধানসভাতেই। রাজ্য সরকারের আরজি মেনে নিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ৭ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার সময় বিধানসভায় এসে তিনি নিজেই মমতা-সহ তিন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। মঙ্গলবার টুইটে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল ধনকড়।
বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। আর বিধায়কদের বিধানসভায় শপথ নেওয়াবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। এটাই প্রচলিত রীতি ও প্রথা। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বিধানসভার সচিবালয়কে চিঠি দিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়ে এলে তিনি নিজেই তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। স্পিকারের অধিকারে হস্তক্ষেপের সমতুল এ হেন বার্তায় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অসন্তুষ্ট হন। স্পিকার চাইছিলেন, রীতি মেনে নিজেই মমতাকে বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করাতে। আর রাজ্যপাল যদি নিতান্তই নিজে মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করাতে চান, তাহলে তিনি যেন বিধানসভায় উপস্থিত থেকে মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
[আরও পড়ুন: WB By-Elections 2021: ভোটের পর দলবদল রুখতে উপনির্বাচনে দলের অনুগতদেরই টিকিট দেবে BJP]
স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাজ্য সরকার চাইছিল বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল বিধানসভায় (West Bengal Assembly) এসে মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করান। কিন্তু রাজভবনের তরফে এ নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছিল। এমনকী গতকাল সন্ধেতেও টুইট করে রাজ্যের এই পরিকল্পনা নিয়ে আপত্তি জানান রাজ্যপাল। টুইট করে বলেন, সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারার অপব্যাখ্যা করছে সরকার ও বিধানসভা। দাবি করেন, এক্ষেত্রে সংবিধানই রাজ্যপালকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিয়েছে। তবে, বুধবার সুর নরম করেন জগদীপ ধনকড়। জানিয়ে দেন, রাজ্যের আরজি মেনে তিনি নিজে বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
[আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা ছেড়ে দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, চিঠি স্বরাষ্ট্রদপ্তরকে]
প্রসঙ্গত, মমতার সঙ্গে ওই একই দিনে শপথ নেবেন জঙ্গিপুরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন (Jakir Hossain) এবং সামশেরগঞ্জের জয়ী তৃণমূলপ্রার্থী আমিরুল ইসলামও। তাঁদেরও শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল নিজেই।