বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: এবার থেকে সরকারি কর্মচারীরাও আরএসএস কার্যকলাপে অংশ নিতে পারবেন। ৫৮ বছর আগে সরকারি কর্মীদের আরএসএস এবং জামাত-ই-ইসলামিতে যোগদানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর সরকার। রবিবার সেই নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্র। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য নতুন বিজ্ঞপ্তির ছবি শেয়ার করে জানিয়েছেন, এবার থেকে সরকারি কর্মীদের আরএসএসে যোগ দিতে কোনও বাধা নেই।
সোমবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নতুন নির্দেশিকার ছবি পোস্ট করেন বিজেপির (BJP) মালব্য। সেই সঙ্গে লেখেন, "১৯৬৬ সালে অসাংবিধানিকভাবে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে সরকারি কর্মচারীরা আরএসএসে যোগ দিতে পারবেন না। সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করেছে মোদি সরকার। এমন আইন পাশ করাই উচিত ছিল না। আসলে আরএসএসের দাপটে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।"
[আরও পড়ুন: হরপ্পা সভ্যতার নাম বদলে সিন্ধু-সরস্বতী! ফের বিতর্কে NCERT]
নতুন নির্দেশিকা জারি হতেই তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বিরোধীরা। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের (Congress) সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লেখেন, "১৯৪৮ সালে গান্ধীজির হত্যার পরে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করেছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। কিন্তু পরে আরএসএস 'শুধরে যাওয়া'র প্রতিশ্রুতি দিলে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। ১৯৬৬ সালে সরকারি কর্মচারীদের আরএসএসে যোগ দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়, অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলেও কার্যকরী ছিল সেই নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু স্বঘোষিত নন বায়োলজিক্যাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরএসএসের (RSS) সম্পর্ক খারাপ হতেই সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। আমলারা এবার শুধু অন্তর্বাস পরে আসবেন মনে হয়। "
নয়া সিদ্ধান্তকে তোপ দেগেছে তৃণমূলও। রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন নিজের একটি প্রতিবেদন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে শুরু করে উচ্চপদে সরকারি আধিকারিক নিয়োগ-সবক্ষেত্রেই সংঘঘনিষ্ঠদের প্রাধান্য দিচ্ছেন মোদি, এমনটাই তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এমনকি এটাও দাবি করা হয়েছে, আরএসএস প্রতিষ্ঠাতাদের টপকে গিয়ে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে তুলে ধরতে চাইছেন মোদি। সেই জন্যই ৫৮ বছরের পুরনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পথে হেঁটেছেন।