সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার পর এবার চোখ রাঙাচ্ছে মাঙ্কিপক্স (MonkeyPox)। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তো বটেই, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও খোঁজ মিলেছে আক্রান্তের। যদিও এখনও ভারতে কারও মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হওয়ার কথা জানা যায়নি, তবু আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে কেন্দ্র। তাই এবার সংক্রমণ রুখতে গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
জেনে নিন গাইডলাইনে কী বলা হয়েছে:
- সংক্রমিত রোগীদের আইসোলেশনে (Isolation) রাখতে হবে।
- মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ করা ও ব্যবহৃত জিনিসে হাত দেবে না।
- সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তারপরই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে সাবান ও জল দিয়ে। স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
- রোগীর দেখভাল করার সময় মাস্ক ও গ্লাভস পরে থাকতে হবে।
- আক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্তঃসত্ত্বা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন মানুষদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
[আরও পড়ুন: মাথায় ও মুখে ছিল ক্ষতচিহ্ন? সংগীতশিল্পী কেকে’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু]
পাশাপাশি জানানো হয়েছে চিকিৎসা সম্পর্কেও। ত্বকে র্যাশ, কনজাংটিভাইটিস, মুখের আলসার, জ্বরের মতো নানা উপসর্গের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা চিকিৎসার কথা জানানো হয়েছে গাইডলাইনে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পিসিআর এবং/অথবা সিকোয়েন্সিং পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসকে চিহ্নিত করা যাবে।
কোন কোন ক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছে? কোনও ব্যক্তি যদি আক্রান্ত দেশগুলিতে ২১ দিনের মধ্যে গিয়ে থাকেন এবং তাঁর শরীরে র্যাশ বের হতে থাকে তাহলে সতর্ক থাকতে হবে। দেখতে হবে তাঁর শরীরে জ্বর, মাথাব্যথা, গায়ে যন্ত্রণা, দুর্বলতার মতো উপসর্গও রয়েছে কিনা।
উল্লেখ্য, প্রধানত কাঠবিড়ালী, ইঁদুর, ছুঁচো-সহ তীক্ষ্ণ দাঁতের পশুর থেকেই মানুষের শরীরে বেশি ছড়ায় মাঙ্কিপক্স। এইসব পশুর কামড়, আঁচড় এমনকী, ঘনিষ্ঠভাবে সংস্পর্শে এলেও মানুষের শরীরে মাঙ্কিপক্স প্রবেশ করতে পারে। এরপর সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ড্রপলেট দিয়ে এবং ত্বকের মধ্যে দিয়েই অন্যান্য মানুষের মধ্যে এবং মায়ের থেকে সন্তানের সংক্রমণ হতে পারে।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে প্রয়াত সংগীতশিল্পী কেকে]
এখনও পর্যন্ত দেশে মাঙ্কিপক্স ধরা না পড়লেও বর্তমানে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়েছে। তাই দেশে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর হার ৩-৬ শতাংশ থাকলেও আগামীদিনে আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।