প্রভাতকুমার কারক, আধিকারিক, উদ্যান পালন বিভাগ: জলপাইগুড়িতে বর্ষা মানেই বানভাসি পরিস্থিতি। জল থইথই মাঠঘাট, চাষের জমি। লাটে ওঠে চাষ আবাদ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পারেন কৃষকরা৷ জলপাইগুড়ি উদ্যান পালন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রভাতকুমার কারক জানান, পলি হাউস তৈরি করে বর্ষার মরসুমে সফল হয়েছেন বহু কৃষক। জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি, বাতাবাড়ি এলাকায় নজর কাড়ছে পলি শেডে আবাদ করা ফসল। মরসুমি ফসলকে কিছুটা আগে বুনে লাভের মুখ দেখছেন সকলেই। কিছুটা ব্যক্তিগত উদ্যোগ সেই সঙ্গে সরকারি সহযোগিতায় বাড়ছে পলি হাউসের সংখ্যা।
[ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বাড়িতেই রয়েছে সহজ উপায়]
পলি হাউস আসলে কি? এটি আসলে এক ধরনের পলিথিন শিটের ছাউনি দেওয়া ঘরের মতো। যার মাধ্যমে উদ্ভিদের শরীরে কোনওভাবেই সরাসরি সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি লাগবে না। এই বর্ষায় কোন কোন সবজি চাষ করে অর্থকরীভাবে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা? জলপাইগুড়ি উদ্যান পালন বিভাগের দাবি, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম, পালঙ, ধনেপাতা চাষ করা যেতে পারে। দিন কয়েক পর জমি তৈরি রেখে বোনা যেতে পারে ফুলকপি। পলি হাউসের জমি অনেকটাই উঁচু রাখতে হবে বলে প্রভাতবাবু জানান। গ্রিন পলি হাউসে চাষের ক্ষেত্রে নিকাশি ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে।
[গরমে সুস্থ থাকতে ডায়েটে রাখুন এই সবজিগুলি]
সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি যাতে পলি হাউসের ভিতর যাতে কোনওভাবেই ঢুকতে না পারে, সেজন্য গ্রিন পলি হাউস হলে ভাল হয়। বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে গ্রিন পলি হাউস তৈরি করতে খরচ লাগে প্রায় ৪লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে জাতীয় উদ্যান পালন মিশন প্রকল্পে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক এবং কারিগরি সহযোগিতা করা হয়।
[গরমেও মিলছে শীতের সবজি, ‘সবুজ বিপ্লবে’ লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা]
পলি হাউস পদ্ধতিতে চাষের ৪৫ দিনের মধ্যে পালঙ এবং ধনে পাতা বাজারের বিক্রির উপযুক্ত হয়ে যায়। ক্যাপসিকাম এবং টম্যাটোর ক্ষেত্রে সময় লাগবে ৬০ দিন। সুতরাং, চলতি বর্ষায় কৃষকরা এভাবে চাষাবাদ করে বহু কৃষকই লাভের মুখ দেখেছেন। লাভদায়ক প্রমাণিত হওয়ার জন্যই বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে জলপাইগুড়িতেও বাড়ছে পলি হাউসের সংখ্যা।
The post ‘গ্রিন পলি হাউস’-র মাধ্যমে জলপাইগুড়িতে বাড়ছে চাষের প্রবণতা appeared first on Sangbad Pratidin.