সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোলির রাতে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে গ্রেনেড হামলার পর এনকাউন্টারে 'খতম' আততায়ী। সোমবার সকালে পাঞ্জাবের রাজাশাঁসি এলাকায় পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধের পর গুরসিড়ক সিং নামে ওই দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে অপর হামলাকারী, বিশাল কোনওভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে। তার খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার রাতে অমৃতসরের খান্ডওয়ালার মন্দিরে আচমকা গ্রেনেড হামলা হয়। রাতে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ব্যাপক আতঙ্কিত ছড়ায় মন্দির চত্বরে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, বাইক চড়ে দুই যুবক এসে মন্দিরের সামনে দাঁড়ায়। এরপর মন্দির লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে ফের চম্পট দেয়। কয়েক মুহূর্ত পর ব্যাপক বিস্ফোরণ কেঁপে ওঠে মন্দির চত্বর। তবে গ্রেনেড হামলায় হতাহতের খবর ছিল না। এই হামলায় পাক যোগের অনুমান করে গুরুত্ব সহকারে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর সোমবার এই এনকাউন্টার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা রাজাশাঁসি এলাকায় ঘোরাফেরা করছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে এদিন সেখানে অভিযান চালানো হয়। অপরাধ দমন শাখা এবং স্থানীয় পুলিশের একটি দল সেখান পৌঁছয়। পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গুরসিড়ক ও বিশাল। তাদের থামাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। হেড কনস্টেবল গুরপ্রীত সিংয়ের বাঁ হাতে গুলি লাগে। ইন্সপেক্টর অমোলক সিংও আহত হন। আরেক রাউন্ড গুলি লাগে পুলিশের গাড়িতে। এরপরই আত্মরক্ষার্থে পালটা গুলি ছোড়ে পুলিশ। ইন্সপেক্টর বিনোদ কুমারের গুলিতে গুরসিড়ক আহত হন। গুলিযুদ্ধের মাঝে গুরসিড়কের সঙ্গী বিশাল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এনকাউন্টারে জখম তিনজনকেই নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরে গুরসিড়ককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জখম পুলিশ আধিকারিকদের চিকিৎসা চলছে।