সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন রাষ্ট্রের শাসকদলের নানা ত্রুটির কথা তুলে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তার জন্য তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মুখোমুখিও হতে হয়েছে। আরেকজন শুধু পরিবেশ (Environment) রক্ষার প্রচার করে উঠে এসেছে লাইমলাইটে। এই দু’জনই ২০২১-এ নোবেল শান্তি পুরস্কারের (Nobel Peace Prize) জন্য মনোনীত হয়েছেন। প্রথমজন অ্যালেক্সেই নাভালনি, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কট্টর সমালোচক, ক্রেমলিনের ‘শত্রু’। আর দ্বিতীয়জন গ্রেটা থুনবার্গ, সুইডেনের কিশোরী পরিবেশকর্মী। নোবেল পুরস্কার কমিটির সদস্যরা এবার তাঁদের নাম তুলে এনেছেন মনোনয়নে। প্রসঙ্গত, আগের বছরও নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিল গ্রেটা। তবে শেষপর্যন্ত তা থেকে ছিটকে যায়। এবার কি গুরুত্বপূর্ণ এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার আসবে তাঁর হাতে? উত্তর পেতে অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
নোবেল পুরস্কারে মনোনয়নের নির্দিষ্ট রীতি আছে। ২০১৪ সাল থেকে নরওয়ে (Norway) পার্লামেন্টের সদস্যরা নাম প্রস্তাব করার সুযোগ পান। রবিবার পর্যন্ত সেই সুযোগ ছিল। তাতেই দেখা গিয়েছে, শান্তি পুরস্কার মনোনয়নের জন্য উঠে এসেছে পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ (Greta Thunberg) এবং ক্রেমলিনের সমালোচক, সমাজকর্মী অ্যালেক্সেই নাভালনির (Alexei Navalny) নাম। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সংকট নিয়ে লাগাতার নিজের মতো করে প্রচার চালিয়ে যেভাবে আন্তর্জাতিক মহলের নজর কেড়েছে গ্রেটা, তার জন্য মনোনীত হয়েছে কিশোরী পরিবেশকর্মীর নাম। অন্যদিকে, রাশিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নাভালনির ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে চেয়ে তাঁর নাম মনোনয়ন করেছেন নরওয়ে পার্লামেন্টের সদস্যরা। যদিও আগে নাভালনির নাম প্রস্তাব করেছিলেন রাশিয়ার শিক্ষাবিদরা। তাতেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অস্বস্তি বাড়ল ট্রাম্পের! প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের হয়ে মামলা লড়তে নারাজ আইনজীবীরা]
এছাড়া আরও নাম আছে এই তালিকায়। জানা গিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার যেসব কর্মীরা দরিদ্র দেশগুলিতে কাজ করেছেন, তাঁরা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। নিজের কৃতিত্বের জন্য গ্রেটা থুনবার্গ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত পুরস্কার প্রাপ্তি হয়নি। ২০২১-এ গ্রেটা নোবেল পেলে সাম্প্রতিক সময়ে তা হবে দ্বিতীয় কিশোরীর নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্তি। এর আগে ২০১৪ সালে শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ করে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিল পাকিস্তানি কিশোরী মালালা ইউসুফজাই (Malala Yusafzai)। সে বছর ভারতের সমাজকর্মী কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে মালালা এই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছিল। এবার হয়ত গ্রেটা থুনবার্গের পালা।