সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিয়ের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিচ্ছেদ নবদম্পতির। নতুন বউকে ‘তালাক’ ঘোষণা করল স্বামী। বাংলাদেশের (Bangladesh) চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই ঘটনায় তাজ্জব সকলে। দুই পরিবারের সম্মতিতে যেমন বিবাহ হয়েছিল, তেমনই তাদের বিচ্ছেদেও (Divorce) অনুমোদন ছিল পরিবারের সদস্যদের। এমন জানা গিয়েছে। কিন্তু এই স্বল্প সময়ের মধ্যে কী এমন ঘটল, যাতে নববধূকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করল স্বামী? ইতিউতি গুঞ্জন, স্ত্রীর সঙ্গে যে বনিবনা হবে না, তা নাকি বুঝেছিলেন বর। আর তাই এমন সিদ্ধান্ত।
গত শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় একই জায়গার যুবতীর সঙ্গে। সেদিনই ছিল বাসর রাত। পরদিন অর্থাৎ শনিবার বউভাতের আয়োজন করা হয়েছিল পাত্রের পরিবারের তরফে। সেই অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের স্বজনরা হাজির হয়েছিলেন। চলে অতিথি আপ্যায়ণ, কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই শোনা গেল ভাঙনের সুর। শেষ পর্যন্ত রাত ৮ টা নাগাদ বিচ্ছেদ হয়েই গেল নব দম্পতির।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে ফের রাজি মালয়েশিয়া, দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি]
কিন্তু বাসর রাত পেরতেই হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন? তালাকনামা (Talaq) সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে লেখা হয় – ‘‘১৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক একে অন্যের সহিত ৬০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় আমরা উভয়ে আপসে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”
শনিবার বিকেলে অতিথি আপ্যায়ণ পর্ব মিটতেই শুরু হয় তালাক প্রক্রিয়া। বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আনোয়ার হোসেন নামে এক কলেজ শিক্ষকের বাড়িতে বর ও কনে পক্ষের গুরুজনেরা বসে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি শেষ করেন। তালাক প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিলেন নিকাহ রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম। রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম জানান, তালাক সম্পাদনের জন্য বিকেলে কলেজ শিক্ষক আনোয়ার স্যারের বাড়িতে ডাকা হয়। তিনি শুধু গিয়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তালাক সম্পাদন করেছেন। তবে কী কারণে এই তালাক, সে সম্পর্কে তাঁকে কোনও পক্ষই কিছু বলেনি। তালাকনামায় তারা যেমনটা বলেছে, তেমনটাই লেখা হয়েছে। কারণ যাই হোক না কেন, বিয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই বিচ্ছেদের খবর শুনে অবাক সকলেই।