সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কি সত্যি সত্যিই জিএসটির আওতায় আসছে পেট্রল-ডিজেল? একটা সম্ভাবনা অন্তত তৈরি হয়েছে। দেশজুড়ে পেট্রল-ডিজেল (Petrol-Diesel) যখন অগ্নিমূল্য, তখনই পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসছে জিএসটি কাউন্সিল। দেশজুড়ে পেট্রোপণ্যের উপর একই হারে কর লাগু করা যায় কিনা, সেই প্রস্তাব বিবেচনা করবে গুডস অ্যান্ড সার্ভিস (GST) কাউন্সিল।
বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ফলে উপভোক্তাদের খরচ এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তনের দরজা খুলে যাবে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের (Niramala Sitharaman) নেতৃত্বে কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে কাউন্সিলকে বলেছিল আদালতও। আসলে পেট্রোপণ্য জিএসটির আওতায় এলে কর নিয়ে জটিলতা অনেকটাই কমবে। এর ফলে একধাক্কায় পেট্রল-ডিজেলের দাম অনেকটাই কমে যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক, গুজরাটের পর এবার হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বদল নিয়ে জল্পনা, কী বলছে বিজেপি?]
কিছুদিন আগে পেট্রোলিয়াম দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, দু’ জনেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এবার পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনতে পারে কেন্দ্র। ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, কেন্দ্র সরকার শুরু থেকেই পেট্রল এবং ডিজেলকে জিএসটি কাউন্সিলের আওতায় আনার পক্ষে। এতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে। তবে, এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরিই জিএসটি কাউন্সিলকে নিতে হবে। অন্যদিকে নির্মলা জানান, “পেট্রোপণ্যের উত্তরোত্তর মূল্যবৃদ্ধি উদ্বেগজনক। দাম কমাতে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার কথা বলেছি। তবে সেটা নির্ভর করছে জিএসটি কাউন্সিলের উপর।”
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশ ওকে গুলি করে মারলেও আক্ষেপ নেই’, বলছেন মুম্বইয়ের ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তের বাবা]
কেন্দ্রের দুই মন্ত্রী পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার কথা বললেও এক্ষেত্রে বাধা হতে পারে জিএসটি কাউন্সিল। কারণ, জিএসটি কাউন্সিলে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরাও আছেন। পেট্রোপণ্যকে পণ্য ও পরিষেবা করের আওতায় আনতে চাইলে রাজ্যগুলি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এমনিতেই পেট্রোপণ্যে রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি কর পায় কেন্দ্র। তার উপর জিএসটির আওতায় এলে রাজ্যের লভ্যাংশ আরও কমবে। ২০১৭ সালে যখন জিএসটি চালু হল, তখন মূলত রাজ্যগুলির আপত্তিতেই পেট্রোপণ্যকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এবারেও যে রাজ্যগুলি এই প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আসলে, জিএসটি ব্যবস্থায় যে কোনও পরিবর্তনের জন্য কাউন্সিলের তিন-চতুর্থাংশের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। যার মধ্যে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রতিনিধি রয়েছেন।