ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে অজানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি জ্বরের দাপটে ত্রস্ত দক্ষিণবঙ্গও। ঘটছে প্রাণহানিও। এই পরিস্থিতিতে জ্বর নিয়ে আতঙ্কিত অভিভাবকরা। আপনার বাড়ির খুদে সদস্য জ্বরে ভুগলে কী করবেন? সে সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।
নবজাতক থেকে ১৬ বছর বয়সি শিশুদের অভিভাবকদের বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে। কী কী উপসর্গ দেখা দিলে সাবধান হবেন, সে বিষয়ে চলুন আগে জেনে নেওয়া যাক।
- জ্বর
- কাশি
- ডায়েরিয়া
- বমি
- হাত-পায়ে ব্যথা
- শ্বাসকষ্ট
[আরও পড়ুন: Skin Care Tips: ঋতুস্রাবের সময় তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণয় ভরছে মুখ, কীভাবে মেটাবেন সমস্যা?]
যে সমস্ত শিশু নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্মেছে, যাদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, স্নায়ুরোগ এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের অভিভাবকদের অতিরিক্ত সতর্কতা নিতে হবে।
অভিভাবকদের করণীয়:
- শিশুদের জ্বর আসলে তাপমাত্রা খেয়াল রাখতে হবে।
- বাড়িতে পালস অক্সিমিটার রাখুন।
- কমপক্ষে দিনে ৫ বার শিশুর রক্তে অক্সিজেন কতটা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখুন।
- শিশু দিনে ৫ বারের কম প্রস্রাব করছেন কিনা খেয়াল রাখুন।
- জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে। নইলে পরিবারের সকলের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম হলে এবং জ্বর কমতে না চাইলে অবশ্যই শিশুদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের হিমোগ্রাম, সিআরপি, কোভিড ১৯, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, স্ক্রাব টাইফাস, চেষ্ট এক্স রে, রেসপিরেটরি ভাইরাল প্যানেলের মতো পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট সন্তোষমূলক না হলে হাসপাতালে ভরতি রেখে চিকিৎসা করতে হবে তাদের।