গুলজার: লতাজি ছিলেন কণ্ঠের কিংবদন্তি। যতদিন ভারত গান গাইবে, ভারতের বুকে বাজবে বীণা,ততদিন তিনি বেঁচে থাকবেন।
আমি এই মুহূর্তে যা অনুভব করছি, তা সত্যিই বর্ণনা করার মতো কোনও শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। শতাব্দীর কণ্ঠ আজ শান্ত হয়ে গিয়েছে। ভীষণ ভীষণ খারাপ লাগছে। আজ বারবার বেশি করে মনে পড়ছে ওঁর কথা। কারণ ওঁর সঙ্গে আমার খুব সুন্দর সম্পর্ক ছিল। একসঙ্গে কাজ করার স্মৃতিগুলো মনের কোণে ভিড় জমাচ্ছে। আমি ওঁকে ‘বেগম’ বলে ডাকতাম। দু’দিনের যে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র, আমার মনে হয় লতাজির (Lata Mangeshkar) জন্য এটাই উপযুক্ত সম্মান।
[আরও পড়ুন: ভারতরত্নের প্রয়াণে সোমবার রাজ্যে অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ১৫ দিন বাজবে লতার গান]
শুধু সুরসম্রাজ্ঞী হিসেবেই নয়, মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ছিলেন। তিনি (লতা মঙ্গেশকর) একজন অত্যন্ত দয়ালু এবং উদার মনের মানুষ ছিলেন। আমরা একসঙ্গে একটা ছবি তৈরি করেছি। আমি ‘বেগম’কে বলেছিলাম আপনি খুব উদার প্রযোজক। অনেকেই হয়তো জানেন না, তিনি শুটিং সেটে সবার জন্য উপহার নিয়ে আসতেন। তিনি এও জানতেন যে আমি বুদ্ধের মূর্তি সংগ্রহ করতাম। সে কথা মনে রেখে আমাকে চার থেকে পাঁচটা সুন্দর ভাস্কর্য উপহার দিয়েছিলেন। শেষ যেটি তিনি আমাকে পাঠিয়েছিলেন তা আবার একটি গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) মূর্তি ছিল। মাত্র মাস ছয়েক আগেই সেই মূর্তিটি পেয়েছিলাম আমি।