সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের গুলির লড়াই বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে। মাদক কারবারের দখল নিয়ে দুই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মধ্যে এই সংঘাত বলে খবর। বৃহস্পতিবারের গুলিযুদ্ধে এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা কারবার ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের গুলিযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে পাঁচশো কিলোমিটার দূরের জেলা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ে এই লড়াই হয়। এদিন বিকেলে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) এবং আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গুলিযুদ্ধ হয়। নিহতরা হচ্ছে- পালংখালী ৬নং ক্যাম্পের বাসিন্দা সামসু আলম (২৩) ও নুর মহম্মদ (১৭)। এ কাণ্ডে জখম হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় পাঁচ হাজার টন ইলিশ আসবে বাংলায়, অনুমোদন পেলেন ৯৬ ব্যবসায়ী]
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (ওসি) শেখ মহম্মদ আলি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের মধ্যে গুলিযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা কাজ করছেন। এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিহত শামসুল আলমের ছোট বোন হাসিনা বেগম ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতাদের জানিয়েছেন, আরসার লোকজন ভোরে ক্যাম্প থেকে তাঁর ভাইকে ডেকে লড়াই করতে পাহাড়ে নিয়ে যায়। তিনি বিকেলে জানতে পারেন, ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রাক্তন সাব মাঝি সৈয়দুল করিম জানান, আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) নেতা মৌলভি রহিমুল্লা ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) নেতা নবী হোসেন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মূলত দুই গ্রুপের মধ্যে ক্যাম্পে ইয়াবা কারবার ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে।