সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী ও দেওরকে বন্দুকের নিশানায় রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকে এদিন সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গুরগাঁওয়ের সোহনা এলাকার জোহালকা গ্রামে।
[রাতভর কুয়োয় পড়ে থেকেও দিব্যি সুস্থ ১ দিনের শিশু!]
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে স্বামী ও দেওরের সঙ্গে গাড়িতে ফিরছিলেন ওই গৃহবধূ। চালকের আসনে ছিলেন দেওর। গুরগাঁওয়ের ৫৬ নম্বর সেক্টর লাগোয়া রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে গাড়ি থেকে নামেন গৃহবধূর স্বামী। রাত হয়ে যাওয়ায় এলাকায় খুব একটা লোক চলাচল করছিল না। স্থানীয় বিজনেসপার্ক টাওয়ারের সামনেই গাড়িটি দাঁড় করানো হয়। এই সময় দুটি গাড়ি তাঁদের গাড়ির কাছাকাছি এসে দাঁড়ায়। চারজন নেমে এসে জানতে চায়, তাঁদের গাড়ি ওখানে কেন দাঁড়িয়ে আছে। তবে প্রশ্নকর্তারা উত্তরের অপেক্ষা করেনি। অভিযোগ, একপ্রকার টেনে হিঁচড়েই গৃহবধূকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয় চারজন। এরমধ্যে ঘটনাস্থলে ফিরে আসেন আক্রান্তের স্বামী। তবে ততক্ষণে দেওরকে বন্দুকের নিশানায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে চারজনের একজন। স্ত্রীকে বাঁচাতে এলে স্বামীর দিকেও বন্দুক তাক করা হয়। এরপর বাকি দুজন ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর নির্যাতিতা-সহ তিনজনকেই ফেলে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় চার দুষ্কৃতী। পুলিশকে জানালে বিপদ বাড়বে বলে হুমকিও দেয়।
[দেশের সম্পদের ৭৩ শতাংশই কুক্ষিগত করেছে ১ শতাংশ ধনী]
এই প্রসঙ্গে গুরগাঁওয়ের এসিপি মণীশ সেহগল জানান, বন্দুকের নিশানায় থাকা অবস্থায় কোনওরকমে দুষ্কৃতীদের একটি গাড়ির নম্বর লিখে নেন নির্যাতিতার স্বামী। সেই নম্বরের সূত্র ধরেই এদিন সকালে চার অভিযুক্তকে সোহনা লাগোয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।