সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইসিসে যোগ দিয়েছি! চাঞ্চল্যকর পোস্ট করেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। পরের দিন গ্রেপ্তার হলেন গুয়াহাটি আইআইটির (Guwahati IIT) পড়ুয়া। আপাতত দশ দিনের জন্য তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

কয়েকদিন আগেই অসম (Assam) থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে ইসলামিক স্টেটের ভারতীয় শাখার প্রধান। তার পরেই সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় ফেলে দেয় গুয়াহাটি আইআইটি পড়ুয়ার পোস্ট। আদতে দিল্লির বাসিন্দা ওই পড়ুয়া লিঙ্কড-ইনে লেখেন, ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত হতে চান। শনিবার এই পোস্ট করেই নিখোঁজ হয়ে যান বায়োটেকনোলজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া। খবর পেয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে পুলিশ। ছাত্রের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি।
[আরও পড়ুন: আদর্শ আচরণবিধির আওতায় সকলেই, ছাড় কেবল মোদির জন্য! কেন এই নিয়ম?]
ওই পড়ুয়ার হস্টেলের ঘরে তল্লাশি করতে গিয়ে আইসিসের আদলে কালো পতাকা পান অসম পুলিশের এসটিএফ সদস্যরা। বেশ কিছু ইসলামিক পুঁথিও উদ্ধার হয় তাঁর ঘর থেকে। শনিবার রাতভর খোঁজার পরে রবিবার ওই পড়ুয়ার নাগাল পায় পুলিশ। রবিবার গুয়াহাটি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে হাজো থেকে তাঁকে ধরা হয়। আপাতত UAPAর আওতায় মামলা দায়ের হয়েছে ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। তাঁকে দশ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে গুয়াহাটির আদালত। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া কারোওর সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করতেন না। অধিকাংশ সময় নিজের ঘরেই থাকতেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবারই অসম থেকে গ্রেপ্তার হয় ইসলামিক স্টেটের (ISIS) ভারতীয় শাখার প্রধান হ্যারিস ফারুকি। বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের সময়েই ধরা পড়ে হ্যারিস ও তার সহযোগী আরও এক আইসিস নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই এনআইএর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল তার নাম। হ্যারিস ছাড়াও আটক করা হয়েছে এক সহযোগীকে। আদতে পানিপথের বাসিন্দা অনুরাগ সিং ধর্মান্তরিত হয়ে রেহান নামে আইসিসে যোগ দিয়েছে। তার স্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক। দেশের নানা সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়েছে এই দুই নেতার নাম। তার পরেই আইসিসে নাম লেখানো পড়ুয়াকে পাকড়াও করল পুলিশ।