অর্ণব দাস, বারাসত: অফিস যাওয়ার পথে আচমকা দুর্ঘটনা। পকেটে থাকা মোবাইল ফেটে গুরুত জখম যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় (Habra)। এই রীতিমতো আতঙ্কিত ওই যুবক ও তাঁর পরিবার।
স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার গোয়ালবাটি এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথ রায়। তিনি কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় হিসাবরক্ষকের কাজে নিযুক্ত। বৃষ্টির মধ্যেও এদিনও তিনি ট্রেনে করে কাজে যোগ দিতে সাইকেলে হাবড়া স্টেশনে যাচ্ছিলেন। সেইসময় আচমকা একটি টোটোর ধাক্কায় তিনি সাইকেল থেকে পড়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে তার ডান পা প্রচণ্ড জ্বলতে শুরু করে। তখনই তিনি লক্ষ্য করেন, ডান পকেটে থাকা মোবাইল ফেটে তার প্যান্ট, রেনকোট পুড়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে তার ডান পায়ের হাঁটুর উপরের অংশও পুড়ে গিয়েছে। তখনই উপস্থিত স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তার স্ত্রীকে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানায়।
[আরও পড়ুন: দুদিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পাশের জলাশয়ে উদ্ধার ব্যবসায়ীর দেহ, চাঞ্চল্য ক্যানিংয়ে]
স্ত্রী ঝুমা রায় তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছে জখম স্বামীকে নিয়ে যান হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা করানোর পর কিছুদিন সম্পূর্ন বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দেন চিকিৎসক। এই প্রসঙ্গে জখম জগন্নাথ রায় জানান, "টোটোর ধাক্কায় পড়ে যাওয়ার পরই প্যান্টের পকেটে রাখা মোবাইল ফেটে সঙ্গে সঙ্গে ডান পায়ে জ্বলন শুরু হয়। পায়ের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে।" স্ত্রী ঝুমা রায় বলেন, "বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচ মিনিট পরেই অপরিচিত একজন ফোন করে ঘটনার কথা জানায়। মোবাইল ফেটে ওর জীবন মরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মোবাইল প্যান্টের পকেটে থাকায় পা জখম হয়েছে, নাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।" পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হিসেবে জগন্নাথবাবু জখম হয়ে শয্যাশায়ী হওয়ায় সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গোটা পরিবার।