সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুপ্তঘাতকের হাতে খুন হলেন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসে (Jovenel Moise)। ওই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। ব্যক্তিগত বাসভবনেই প্রেসিডেন্টের উপর হামলা চালানো হয় বলে বুধবার জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতের নির্দেশেই গ্রেপ্তারি’, ডোমিনিকার হাই কোর্টে এবার পালটা মামলা মেহুল চোকসির]
বিবিসি সূত্রে খবর, ক্যারিবিয়ান দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে নিজের বাসভবনেই খুন হয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোইসে বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লড জোসেফ। একদল অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন ফার্স্ট লেডি মার্টিন মোইসে। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে। কারা এই হামলা চালাল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেনই বা হামলা চালাল তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রধানমন্ত্রী জোসেফ এই হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “এটা একটা অমানবিক এবং বর্বরোচিত কাজ।” হাইতির ন্যাশনাল পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। প্রেসিডেন্টের খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হামলকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে নানা দেশের নানা প্রান্ত থেকে আওয়াজ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্টের উপর হামলার পর থেকেই রাজধানীতে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এই হামলা আসলে ক্ষমতা দখলের জন্যই করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও প্রধানমন্ত্রী জোসেফ জানিয়েছেন, তিনি দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন এবং পরিস্থিতি সেনাবাহিনী এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উল্লেখ্য, জোভনেল মোইসে ফেব্রুয়ারি ২০১৭ থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। তার পূর্বসূরী মিশেল মার্টেলি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর ৫৩ বছর বয়সী মোইসে মসনদে বসেন। ২০১৮ সালে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার পর থেকে মোইসে নির্বাহী আদেশ জারি করে শাসন চালাচ্ছিলেন। তাঁর শাসনকাল খুবই সমস্যা জর্জরিত ছিল। মোইসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল এবং প্রায়ই সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে।