সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি এবং পাচার মামলা নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। ইতিমধ্যে জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল-সহ বহু হেভিওয়েট। জেলে তাঁরা কী করছেন, কী খাচ্ছেন, কী পরছেন তা নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এই কৌতূহলকে হাতিয়ার করেই পর্যটনে জোয়ার আনতে নয়া উদ্যোগ উত্তরাখণ্ড সরকারের। কুমায়ুনের হলদোয়ানি জেলে শুরু হতে চলেছে বিশেষ জেল ট্যুরিজম। একদিন জেলজীবনের স্বাদ ভোগ করতে খরচ পড়বে মাত্র ৫০০ টাকা।
জেল ট্যুরিজম (Jail Tourism) আসলে একদিনের জেলবন্দি জীবন ছাড়া আর কিছুই নয়। বন্দিদের মতো জেলে ঢোকার সময় লকারে পোশাক, মোবাইল সব রেখে দিতে হবে। এরপর জেল থেকে পর্যটককে দেওয়া হবে কয়েদির পোশাক। সেই পোশাকই পরতে হবে। সংগ্রহ করতে হবে থালা, কম্বল-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। তা নিয়ে ২৪ ঘণ্টা ছোট্ট একটি কুঠুরিতে থাকতে হবে। ওই কুঠুরি লাগোয়া খোলা শৌচালয়েই সারতে হবে প্রয়োজনীয় কাজ। কারাবন্দিরা সাধারণত যেমন খাবারদাবার খায়, তা-ই দেওয়া হবে। ওই খাবারই খেতে হবে পর্যটকদের। একদিন কাটাতে পারলে ভাল। আর যদি কেউ কয়েকঘণ্টা থাকার পরই হাঁফিয়ে ওঠেন, তবে তিনি বেরিয়েও যেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে ৫০০ টাকা আর ফেরত পাবেন না। পরিবর্তে জরিমানা হিসাবে নিয়ে নেওয়া হবে ৫০০ টাকা।
[আরও পড়ুন: পুজোয় ভিন্ন মুডে মহুয়া, ‘সোহাগ চাঁদ বদনি ধ্বনি’র তালে কোমর দোলালেন তৃণমূল সাংসদ]
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কিংবা নেদারল্যান্ডেও কারাবন্দিদের জীবন উপভোগ করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। পর্যটনে জোয়ার আনতে ঠিক একই উদ্যোগ উত্তরাখণ্ড সরকারের। ১৯০৩ সালে তৈরি হওয়া হলদোয়ানি সংশোধনাগার একটি অস্ত্রাগারও সংস্কারের পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে কারও কারও দাবি, শুধু পর্যটনে জোয়ার আনা উদ্দেশ্য নয়। জ্যোতিষবিদদের কথা মাথায় রেখেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বহু জ্যোতিষীই মনে করেন, জেলের খাবার এক রাত খেলেই কিংবা কিছু সময় কাটালে কাটতে পারে গ্রহের দোষ। যাঁরা গ্রহের দোষ কাটাতে চান, তাঁদের কাছে জেল ট্যুরিজম ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর দেরি কেন? আপনিও জেল ট্যুরিজমে অংশ নিতেই পারেন। আর হয়ে উঠতে পারেন অন্য ধরনের অভিজ্ঞতার সাক্ষী।