সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলি (Israel) সেনা হামাসের (Hamas) উপর হামলা করলেই খুন করে দেওয়া হবে পণবন্দিদের। যুদ্ধের মুখে এভাবেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিল ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনটি। সোমবারই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই যুদ্ধের শেষ দেখে ছাড়বেন তিনি। তার পরেই গাজা সীমান্তে সেনা ও যুদ্ধের ট্যাঙ্ক জমায়েত হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই হাড় হিম করা বিবৃতি হামাসের সামরিক বিভাগের। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে ইজরায়েলের উপর হামলা চালাচ্ছে জঙ্গি সংগঠন। তার জেরে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৩০০ ছাড়িয়েছে।
সোমবার রাত থেকেই গাজার একাধিক এলাকায় হামাস ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। তবে তার আগেই অন্তত ১০০ জনকে পণবন্দি করে ফেলেছে জঙ্গি সংগঠনটি। তার মধ্যে রয়েছেন আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নেপাল-সহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও। এহেন পরিস্থিতিতে হামাসের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু। দেশবাসীকে সাফ বার্তা দেন, দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে তাঁদের। সেই ঘোষণার পরেই গাজা সীমান্ত থেকে আক্রমণ শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা।
[আরও পড়ুন: কমছে প্লেটলেট কাউন্ট, হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত শুভমান]
নেতানিয়াহুর ঘোষণার পরেই পালটা বিবৃতি জারি করেছে হামাস। জঙ্গি সংগঠনের সামরিক বিভাগের তরফে বলা হয়, গাজার সাধারণ মানুষের উপর ইজরায়েলের সেনা যদি আচমকা হামলা চালায়, তাহলে পণবন্দিদের খুন করে দেওয়া হবে। ইজরায়েলি সেনার প্রত্যেকটা আক্রমণের মাসুল হিসাবে খুন হবেন একজন করে পণবন্দি। তবে এই হুমকির পরেও সেনা সরানোর কথা ভাবছে না ইজরায়েল।
অন্যদিকে, গাজা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইয়োআভ গালান্ত। তাঁর হুঙ্কার, হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই ভূখণ্ডে খাবার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জোগান বন্ধ করে দেওয়া হবে। একেবারে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে ২০ লক্ষ মানুষের বাসস্থান। যদিও ইজরায়েলের এই সিদ্ধান্তের বেশ বিরোধিতা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।