দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: যুগলের রহস্যমৃত্যু। মঙ্গলবার সকালে বাঁশের মাচায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে কিশোরী ও যুবকের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরের বাগডাঙা ছিনামোড় পঞ্চায়েতের দাঁইপুকুর এলাকায়। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই যুগলকে।
জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম সংগীতা কোলে। ছিনামোর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিয়ারাতের বাসিন্দা সে। মৃত যুবকের নাম রাহুল পোড়েল। একই পঞ্চায়েতের দাঁইপুকুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। যুবকের পরিবারের দাবি, একবছর আগে রাহুল ভালবেসে বিয়ে করেন সংগীতা নামের ওই কিশোরীকে। এরপরই দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। মাস ছয়েক আগে ওই নাবালিকাকে চাইল্ড লাইনের তরফে হোমে পাঠানো হয়। সম্প্রতি কিশোরীর পরিবার পড়াশোনার জন্য তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এরপর সোমবার সকালে পড়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সংগীতা। এদিকে কাজ করতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরোন রাহুল।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্মী এসেছে ঘরে, অন্নপ্রাশনে নাতনিকে মঙ্গলের জমি উপহার ঠাকুমার]
এরপর আর দু’জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে দাঁইপুকুর এলাকায় একটি পুকুরের সামনে মাচায় বাঁশের সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় যুগলকে দেখতে পান স্থানীয়রা। সিঙ্গুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ছেলের পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মেয়ের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
যুবকের কাকা অনিল পোড়েলের অভিযোগ, সোমবার বাড়িতে একাই ছিল রাহুল। সেই সময় সংগীতার পরিবারের লোকজন বাড়িতে গিয়ে রাহুলকে বেধড়ক মারধর করে। অনিলবাবু এদিন বলেন, সংগীতার বাড়ির লোকেরাই যুগলকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এদিকে মৃতদেহ দু’টির পাশ থেকে মেয়েটির হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে লেখা, “স্বেচ্ছায় মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছি। এর জন্য কেউ দায়ী নয়।” সিঙ্গুর থানার পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।