বিক্রম রায়, কোচবিহার: স্রেফ পারিবারিক বিবাদের জেরে সালিশি সভায় মারধরের অভিযোগ। চরম সিদ্ধান্ত নিল মাথাভাঙার কিশোর। শনিবার দুপুরে ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তার ঝুলন্ত দেহ। ইতিমধ্যেই পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তে।
কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙার বাসিন্দা আকাশ দাস। বয়স ১৭ বছর। বাবা কার্তিক দাস বছর খানেক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ফলে প্রথম পক্ষের সন্তান আকাশ ও তার ভাই প্রকাশ পাশাপাশি আলাদা থাকত। প্রকাশ জানিয়েছে, বাবার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বিশেষ ভাল ছিল না। অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবার রাতেও বাবার সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়েছিল আকাশ। সেই সময় রাগের মাথায় টিভি ভেঙেছিল সে।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ায় পথের কাঁটা, প্রেমিকের ষড়যন্ত্রে বাড়িতে মদের আসর বসিয়ে স্বামীকে ‘খুন’ স্ত্রীর]
জানা গিয়েছে, সেই ঘটনার জেরে শনিবার এলাকার তৃণমূল নেতাদের (TMC leader) বাড়িতে ডেকে আনেন কার্তিক দাস। সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, সেখানে আকাশ ও প্রকাশকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘর থেকে উদ্ধার হয় আকাশের ঝুলন্ত দেহ। প্রকাশের দাবি, সালিশি সভায় মারধরের কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাদা।
যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি কার্তিক দাসের। সালিশি সভাও হয়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ছেলে বাড়িতে অশান্তি করত। সেই কথা কয়েকজন প্রতিবেশীকে জানিয়েছিলাম। কোনও সালিশি সভার আয়োজন করা হয়নি।” ইতিমধ্যেই আকাশের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কী কারণে আত্মঘাতী হল ওই কিশোর? আদৌ সালিশি সভার আয়োজন করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।