সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল গড়াচ্ছে দূর থেকে আরও দূরে। আরও জটিল হচ্ছে আইনের বিচার। এক মামলার জট খুলতে গিয়ে হাতে আসছে আরেক মামলার সূত্র। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি। সিবিআই (CBI) এই মামলার তদন্তভার নেওয়ার পরও সেভাবে কোনও অগ্রগতি নেই। এই পরিস্থিতিতে গ্রুপ-ডি (Group-D) পদে কর্মরত ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আর তারপরই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। হুগলির বলাগড়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তাঁর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ। অস্বাভাবিকভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মৌমিতা ঘোষ। গত সপ্তাহে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ১৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর। এই তালিকায় নাম ছিল হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়তের গৌরনই গ্রামের বাসিন্দা প্রতাপ ঘোষের। তিনি ২০১৮ সালে গ্রুপ-ডি’র পরীক্ষায় পাশ করে ডুমুরদহের ধ্রুবানন্দ হাই স্কুলে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই চাকরি চলে যায়। তারপর থেকে স্ত্রী মৌমিতার সঙ্গে ঝগড়ঝাঁটি লেগেই থাকত।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের বাড়ি ঘেরাওয়ের পালটা হুমকি বিজেপির, জবাব দিল তৃণমূলও]
মৌমিতা বর্তমানে ভাণ্ডারটিকুরির একটি বেসরকারি কলেজে ডিএলএড (D.El.Ed) পড়ছিলেন। তার মধ্যেই এই কাণ্ড। প্রতাপ ঘোষের ছেলে জানান, বাবা চাকরির জন্য ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। মা দিয়েছিলেন ৮০ হাজার টাকা। চাকরি বাতিল হওয়ার পরও বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। মৌমিতাদেবী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগতেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। তারউপর স্বামীর চাকরি বাতিলের চাপ। প্রতিবেশীরা জানান, বিভিন্ন জায়গায় ধারদেনাও হয়ে যায় তাঁদের। তার জেরে মৌমিতাদেবী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান তাঁদের।
[আরও পড়ুন: দিল্লি টেস্টে সহজ জয়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আরও কাছে ভারত]
এরপর রবিবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে মৌমিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে বলাগড় থানার পুলিশ। সেই রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে, কীভাবে মৌমিতাদেবীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই মৃত্যুর জন্য তৃণমূল দায়ী। তারা শুধু চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গেই প্রতারণা করেনি। যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল সেই মানুষদের সঙ্গেও একইরকমভাবে প্রতারণা করেছে।