সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করে দিয়েছেন। তিনি এখন ঝাড়া হাত-পা। কারও কাছে কোনও জবাবদিহি করার নেই। শৃঙ্খলমুক্ত হরভজন সিং (Harbhajan Singh) এবার রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটালেন। ঘুরিয়ে বলে দিলেন, তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার যে দীর্ঘ হয়নি সেজন্য দায়ী মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) এবং বিসিসিআই (BCCI)। হরভজনের দাবি, বোর্ডের কিছু আধিকারিক চাইছিলেন তাঁকে বাদ দিতে। সম্ভবত ধোনিও তাঁদের সমর্থন করেছেন।
হরভজনের আক্ষেপ ভাগ্য তাঁর সঙ্গে থাকলেও বিসিসিআইয়ের কিছু কিছু আধিকারিক তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। তিনি বলছেন, “কিছু কিছু বাইরের ফ্যাক্টর পুরোপুরি আমার বিরুদ্ধে ছিল। হয়তো আমি যেভাবে বল করছিলাম, সেটাই ওদের পছন্দ ছিল না। যে গতিতে এগোচ্ছিলাম সেটা ওদের পছন্দ ছিল না। আমি মাত্র ৩১ বছর বয়সে ৪০০ উইকেট পেয়েছি। আমি যদি আর চার-পাঁচ বছর খেলতে পারতাম, আমি আপনাকে বলছি, আমি যে স্ট্যান্ডার্ড ধরে রেখেছিলাম, তাতে আরও অন্তত ১০০-১৫০টি উইকেট পেতাম।”
[আরও পড়ুন: ‘আগুনে ঘি ঢালছেন’, বিরাট বিতর্কে এবার নির্বাচক প্রধানকে নিশানা প্রাক্তন ওপেনারের]
টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন স্পিনার বলছেন, “হ্যাঁ ধোনি ওই সময় অধিনায়ক ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় এটা ধোনির উপর থেকে হচ্ছিল। কিছু কিছু বোর্ড কর্তা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা আমাকে চাইত না। হয়তো অধিনায়কও ওদের সঙ্গে ছিল। কিন্তু অধিনায়ক কখনও বোর্ডের উপরে উঠতে পারে না। বোর্ড কর্তারা সবসময় অধিনায়ক এবং কোচের উপরে।” এরপরই ভাজ্জির খোঁচা, ধোনি হয়তো অন্য ক্রিকেটারদের থেকে বোর্ডের সমর্থন অনেক বেশি পেয়েছে। অন্যরা সেই পরিমাণ সমর্থন পেলে তাঁরাও ভাল খেলত।
[আরও পড়ুন: কোহলির অধিনায়কত্বের পর এবার বিরাট-রোহিতের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন নির্বাচকপ্রধান]
প্রসঙ্গত, দেশের হয়ে হরভজন সিং শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। সেবছরই শেষ ওয়ানডে খেলেন তিনি। শেষ টি-২০ তিনি খেলেন ২০১৫ সালে। আইপিএলে (IPL) অবশ্য গত বছর অবধি খেলে গিয়েছেন তিনি। আপাতত তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর হিসাবে কাজ করছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হিসাবে কেরিয়ার শেষ করেছেন ভাজ্জি।