সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়ুর্বেদ বলে ইহজগতের সকলই ঔষধি৷ যদি সঠিক অনুপানে তা ব্যবহার করে। গো-মূত্রের উপকারিতার নিয়ে তো চরম বিতর্ক ভারতে। কিন্তু মানুষের মূত্র (Human Urine) যদি মানুষই পান করে? এ নিয়েও দাবি রয়েছে বটে, তবু হাতে গরম উদাহরণের কথা জানা যায় না। কিন্তু ব্রিটেনের যুবক হ্যারি মাটাডিন (Harry Matadeen) সেই দাবিই করেছেন। তিনি নাকি নিয়মিত নিজের মূত্র পান করে অবসাদের মতো কঠিন অসুখ সারিয়ে ফেলেছেন। এমনকী ওই মুত্রই তার চেহারায় জেল্লা এনেছে।
হ্যারির বয়স এখন ৩৪। তিনি ইংল্যান্ডের (England) হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা। হ্যারির বক্তব্য, একটা সময় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে নিজের মূত্র পান শুরু করেন। ওই সময় থেকেই তাঁর মানসিক অসুস্থতা সেরে যায়। অসুখ থেকে দূরে থাকতে এখনও ঘুম থেকে উঠে মূত্র পান করেন তিনি। নির্দিষ্ট মাপ রয়েছে তার। প্রতিদিন ২০০ মিলিলিটার মূত্র পান করেন হ্যারি।
[আরও পড়ুন: নিজের নাতনিকে চুরি করে নিঃসন্তান প্রেমিকাকে উপহার! উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত দাদু]
মূত্র পানের উপকারিতা নিয়ে চিকিৎসকরা নিশ্চিত নন। তবে হ্যারি এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। বলেন, “মূত্র পান করলে আশ্চর্য শান্তি অনুভব করি আমি। নিজেই অবাক হই, অর্থ খরচ না করেও এতখানি উপকার, এতটা সুখি হওয়া অবিশ্বাস্য! যখন থেকে এই থেরাপি করছি, তখন থেকেই আমার সব অবসাদ উধাও হয়ে গিয়েছে।” যুবক আরও জানিয়েছেন, “রোজ মূত্র দিয়ে মুখ ধোয়ার ফলে আমাকে বয়সের চেয়ে প্রায় বছর দশেক ছোট দেখায়।’’
[আরও পড়ুন: তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়, ফের বললেন পিকে, সঙ্গে কংগ্রেসের প্রশংসাও]
এই অভ্যাসের ফলে অবশ্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে হ্যারিকে। যবে থেকে নিজের মূত্র পান করার অভ্যাস করেছেন, তবে থেকেই আত্মীয়-বন্ধুরা তাঁর সঙ্গ ছেড়েছে। এমনকী নিজের বোন হ্যারির সঙ্গে কথা বলেন না। হ্যারি জানিয়েছেন, এখন তিনি বন্ধু বেছে নিয়েছেন। বলেন, “আমার বন্ধুরা সকলেই ইউরিন থেরাপি চালান। অথবা বিষয়টি বিশ্বাস করেন।” তাছাড়া মূত্রে ঘেন্না পাওয়ার বিষয়টিতেও মোটেই আমল দেন না হ্যারি। বরং জানিয়েছেন, লোকে যতটা ভাবে ব্যাপারটা মোটেই তত খারাপ না। বলেন, “টাটকা মূত্রে এক ধরনের প্রাকৃতিক গন্ধ থাকে। যদি আপনার শরীরের খুব বেশি টক্সিক না থাকে, তবে খুব খারাপ খেতে লাগে না।”