সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিযোগ কয়েক দশকের পুরনো। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষিজমিতে নাড়া (ফসলের গোড়া) আর খড়বিচালি পোড়ানোর কারণে দিল্লিতে দূষণ মারাত্মক আকার নিচ্ছে। সেই চেনা ‘ছবি’ বদলাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দূষণ রোধে নিষেধাজ্ঞা না মেনে খড় পোড়ানোর অভিযোগে হরিয়ানার কাইথালে ১৪ জন কৃষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, খড় পোড়ানোর ঘটনা রোধে ব্যর্থতার জন্য কৃষি দপ্তর বিভিন্ন জেলার ২৪ জন কৃষি আধিকারিক ও কর্মীকে বরখাস্ত করেছে।
হরিয়ানার কাইথাল জেলা দেশের অন্যতম দূষিত শহর হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবং কাইথালের ডিসিকে তলব করে আদালত। যার পরেই জেলা প্রশাসন এই খড় পোড়ানোর ঘটনায় পদক্ষেপ করেছে। এখনও পর্যন্ত ১৮ জন কৃষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শীতের মরশুম শুরু হতে না হতেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বাতাসের গুণমান সূচক কমেছে। একদিকে দূষণ বাড়ছে। অন্যদিকে, হরিয়ানায় খড় পোড়ানোর ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক মাসে খড় পোড়ানোর প্রায় ৫০০ মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। গত ৪ বছরের তুলনায় এটি এক মাসে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ সংখ্যা। হরিয়ানার অনেক শহরে বায়ু মানের সূচক ৪০০ ছুঁয়েছে, যা বিপজ্জনক মাত্রায় পড়ে।
গত কয়েকদিনে, খড় পোড়ানোর জন্য ১৪ জন কৃষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু অপরাধটি জামিনযোগ্য হওয়ায় পরে তাদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। কাইথালের ডিএসপি (সদর দপ্তর) বীরভান জানিয়েছেন, “এই ঘটনার জন্য আরও অভিযান চালানো হবে। থানার ইনচার্জদের তাদের নিজের এলাকায় গত বছরের বিচারাধীন মামলায় গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”