সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ভিনরাজ্য থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় এসে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। নামখানায় পৌঁছে বাস থেকে নামার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রৌঢ়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গত ১০ জানুয়ারি থেকে গঙ্গাসাগরের মেলা শুরু হয়েছে। এবছরের মেলায় পুণ্যার্থীর প্রথম মৃত্যু।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম ধরম পাল (৫৮)। তিনি হরিয়াণার বাসিন্দা। এদিন সকালে নামখানার নারায়ণপুরে পৌঁছায় বাস। সেখান থেকে নামার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন ধরম পাল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় নামখানা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভিনরাজ্যের প্রৌঢ়ের। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি কাকদ্বীপের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে কুবেরের ধন! উদ্ধার নগদ কোটি কোটি টাকা]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এবার গঙ্গাসাগরে আসা পুন্যার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, দুর্ভাগ্যবশত কেউ প্রাণ হারালে তাদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা (Insurance) ব্যবস্থা করানো হয়েছে। রয়েছে আরও প্রচুর ব্যবস্থা। ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি চলবে মেলা। ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি পুণ্যস্নান। প্রতিবারের মতো এবারও লক্ষাধিক পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় জমাবেন বলেই আশা প্রশাসনের। যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সতর্ক নবান্ন।
এবারও গঙ্গাসাগর মেলায় সিঙ্গল টিকিটের ব্যবস্থা। গঙ্গাসাগর মেলায় যাতায়াতকারীদের জন্য ২ হাজার ২৫০টি সরকারি বাস ও ৫০০টি বেসরকারি বাসের বন্দোবস্ত। পুণ্যার্থীদের সুবিধায় সব বাসে থাকবেন সাগরবন্ধুরা। শিয়ালদহ শাখায় চলছে অতিরিক্ত ট্রেন। নিরাপত্তার স্বার্থে থাকবে ১০০টি অ্যাম্বুল্যান্স, ১টি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স এবং ৪টি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। স্থানীয় হাসপাতালগুলিকে বেড বাড়ানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তার দিকে নজরদারিতে থাকবে মেগা কন্ট্রোলরুম। নজরদারিতে ১১৫০ সিসিটিভি থাকবে। ড্রোনেও চলবে নজরদারি।