সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাসে পদপিষ্ট হয়ে ১২৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। হাথরাসের ঘটনার তদন্ত পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়া হোক। সেই কমিটির নেতৃত্বে রাখা হোক সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে। এই দাবিতে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাটি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, এই মামলা জনস্বার্থ মামলা হিসাবে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আনার যৌক্তিকতা নেই। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীদের হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, "এই ধরনের আবেদন শোনার এক্তিয়ার রয়েছে হাই কোর্টের।"
[আরও পড়ুন: লোকসভার ধাক্কা থেকে শিক্ষা! অগ্নিবীরদের জন্য বড় ঘোষণা মোদি সরকারের]
হাথরাসে (Hathras Stampade) মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে আয়োজিত ওই সৎসঙ্গে ৮০ হাজার লোকের জমায়েতের অনুমতি নেওয়া হলেও, সেখানে যোগ দেন আড়াই লক্ষের বেশি অনুগামী। অনুষ্ঠানের শেষে কাতারে কাতারে ভক্তরা ছুটে যান ভোলে বাবার পায়ের ধুলো ও আশীর্বাদ নিতে। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১২৩ জন। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। পাশাপাশি, এই দুর্ঘটনায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও উঠে আসে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়।
[আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে অতিথি নরেন্দ্র মোদি-সহ একাধিক হেভিওয়েট, যাচ্ছেন না গান্ধীরা!]
কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) জানান, “এই ধরনের ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলা যায় না। যদি নিছক দুর্ঘটনা হয়, তবে তার জন্য দায়ী কে? যদি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়ে থাকে তবে কে এই ষড়যন্ত্র রচনা করেছে? সব তদন্ত হবে।” কিন্তু যোগীর সেই তদন্তের আশ্বাসে বরফ বিশেষ গলেনি। সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখতে না পেরেই হাথরাস কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলা খারিজ হয়ে গেল।