সেবির তালিকাভুক্ত কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে? এবার নির্দ্বিধায় তা জানাতে পারেন। স্কোরস-এর কাছে। পুরো নাম হল সেবি কমপ্লেন্টস রিড্রেসাল সিস্টেম। তথ্য সংকলনে টিম সঞ্চয়
বিশেষ কোনও অভিযোগ আছে কোনও লিস্টেড সংস্থার বিরুদ্ধে? অনলাইনে মার্কেট নিয়ন্ত্রক সেবির কাছে সুরাহার জন্য যেতে পারেন। এই জন্য রয়েছে SCORES-সংক্ষিপ্ত আকার বাড়ালে যা পাবেন, তা হল সেবি কমপ্লেন্টস রিড্রেসাল সিস্টেম। নিজের নালিশের কি স্ট্যাটাস হল সেবির দরবারে যাওয়ার পর, তাও এর মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব। অল্প কথায় বলা যাক। সেবির বক্তব্য অনুযায়ী ‘স্কোরস’ ব্যবহার করা সহজ এবং ঝামেলাবিহীন। তাই রেজিস্টার করুন। যখন করবেন, যে তথ্যগুলি দিতে হবে, তার মধ্যে রয়েছে আপনার প্যান, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি।
এখানে লিস্টেড কোম্পানি সম্পর্কে কিছু সাধারণ তথ্য পেয়ে যাবেন, যা জরুরি বটেই। কোম্পানির ঠিকানা, এক্সচেঞ্জে তার অবস্থা, রেজিস্ট্রারের নাম-ঠিকানা ইত্যাদি পাবেন। স্কোরস মাধ্যমে দাখিল হওয়া নালিশের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যন্ত পাবেন। যদি কোনও সংস্থা (ক্যাপিটাল মার্কেটের ইন্ডারমিডিয়ারি হতে পারে) তিন মাসের বেশি সময় ধরে নালিশের সুরাহা ‘পেন্ডিং’ অবস্থায় রেখে থাকে, তার হদিশও পাওয়া সম্ভব।
[আরও পড়ুন: সম্পদ সৃষ্টিতে গুরুত্ব পাক শৃঙ্খলা, পরিকল্পিত লগ্নিতেই হবে লক্ষীলাভ]
কী ধরনের নালিশ সাধারণত করেন বিনিয়োগকারীগণ? বোঝাই যাচ্ছে, নালিশের ধরণ-ধারণ বেশ ঘোরাল হতে পারে এবং ইনভেস্টরদের অধিকার বা সেই ধরনের বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ গোলমেলে হওয়াও অসম্ভব নয়। এই তালিকায় আছে-সিকিউরিটিজের ইস্যু সংক্রান্ত নালিশl সে সবের ট্রান্সফার সংক্রান্ত নালিশl ডিভিডেন্ড না পাওয়ার নালিশl শুধু কোম্পানিই নয়, বিভিন্ন ব্রোকার বা তেমন সংস্থাও বিনিয়োগকারীর নালিশের লক্ষ্য হতে পারে। এর প্রেক্ষিতে ইনভেস্টররা সেবির হেল্পলাইন ১৮০০-২৬৬-৭৫৭৫ ব্যবহার করে দেখতে পারেন (সেবির ওয়েবসাইট অনুযায়ী)। সম্প্রতি খবরে প্রকাশ, মে মাসে প্রায় চার হাজার নালিশের সুরাহা করা হয়েছে। কর্পোরেট সংস্থা ছাড়াও বিভিন্ন সময় ব্রোকার, রিসার্চ অ্যানালিস্ট এবং ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজাররা নালিশের কেন্দ্রে থেকেছেন।