আনলিস্টেড শেয়ার নিয়ে এক শ্রেণির লগ্নিকারী তৎপর থাকেন সব সময়ই। বাজারে লিস্টিং হওয়ার যথেষ্ট আগে যদি সরাসরি কিনে নেওয়া যায় কিছু শেয়ার, তাহলে আখেরে তা লাভজনক হতে পারে। বিগত বছরগুলোতে বহুক্ষেত্রে আনলিস্টেড স্টক নিয়ে পরে বিক্রি করে দেওয়ার সুযোগ এসেছে তাঁদের কাছে। এই মুহূর্তে একগুচ্ছ আনলিস্টেড শেয়ারের খবর আছে, টিম সঞ্চয় আজ সেই ব্যপারে খোঁজ নিল।
সঙ্গের চার্টে কিছু বিশেষ কোম্পানির কথা জানানো হয়েছে। সূত্র : সেন্সট্রিসিটি। বলাই বাহুল্য, এই বিষয়ে আমাদের কোনও পক্ষপাত নেই। বরং আমরা সব সময় সাধারণ লগ্নিকারীকে সতর্ক থাকতে বলি কয়েকটি বিশেষ কারণে।
১- আনলিস্টেড সিকুইরিটিজে বিনিয়োগ করার পদ্ধতি জেনে নেবেন নিজের উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে।
২- সব স্টকেই বিনিয়োগ করতে যাবেন না। নিজের রিস্ক নেওয়ার ক্ষমতা না যাচাই করে, শেয়ার নির্বিশেষে লগ্নি করতে গেলে বিলক্ষণ অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩- লগ্নি করে কীভাবে বি-লগ্নি করবেন, তাও জেনে নিন। আনলিস্টেড শেয়ার কেনা সোজা, তবে তা নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই বিক্রি করতে পারবেন, তার আগে নয়।
৪- মার্কেটে ডিমান্ড-সাপ্লাই খুব বড় একটি নির্ধারক: বিনিয়োগ করার পর যথেষ্ট লাভ যে পাবেনই, তার কোন প্রতিশ্রুতি দেওয়া কোনও কোম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়। তাই গ্যারান্টি বা অ্যাসুরান্স জাতীয় বক্তব্য যদি শুনতে পান, তাহলে তার খুঁটিনাটি জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার আনলিস্টেড শেয়ারের দিকে নজর না দেওয়াই সমীচিন হবে বলে আমরা মনে করি।
৫- খেয়াল রাখতে হবে যে, চার্টে উল্লেখিত সংস্থার দাম সবই ভোলাটিলিটির শিকার হতে পারে। কার্যক্ষেত্রে তাই-ই হয়ে থাকে। তা প্রতিদিনই দামের তারতম্য হতে পারে। সুতরাং কেবলমাত্র চলতি দাম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। তার বদলে নির্দিষ্ট কোম্পানি সম্বন্ধে জেনে নিয়ে, সেটির ব্যবসার সম্ভাব্য অগ্রগতি নিয়ে ধারণা গঠন করাই ভালো হবে।
আনলিস্টেড ইক্যুইটি অপরচুনিটিজ
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: উপরে বর্ণিত সমস্ত মূল্য পরিবর্তনশীল, বাজারের ঝুঁকির উপর নির্ভরশীল। এটি কোনও ধরনের সুপারিশ নয়। পেশাদার ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইসরের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই এগোবেন।