shono
Advertisement

ট্রেনে ‘ভুয়ো’ফেরিওয়ালাদের দাপট, নিদান চাইছেন প্রকৃত হকাররা

আরপিএফ, জিআরপির বিরুদ্ধে এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে।
Posted: 06:15 PM Nov 20, 2020Updated: 06:15 PM Nov 20, 2020

সুব্রত বিশ্বাস: রাজ্যে লোকাল ট্রেন (Local train) চালু হওয়ার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দশদিন। ক্রমে বাড়ছে যাত্রী চলাচল। এরমধ্যে স্টেশন ও ট্রেনে অল্প সংখ্যক হকার লুকিয়ে চুরিয়ে কাজ শুরু করেছেন। ট্রেন পূর্নমাত্রায় চালু করতে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছে। এরই মধ্যে সংখ্যাগুরু হকাররা আরও এক দাবি তুলেছেন, হকারির নামে যাঁরা ব্যাবসা ফেঁদে রয়েছেন তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিক সংগঠন। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে হকারি করতে না পেরে অনাহারে শিলিগুড়িতে এক রেল হকার গায়ে আগুন দিয়ে মারা যান। টিটাগড় স্টেশনে বীজের দোকানে গলায় দড়ি দেন এক হকার। মথুরাপুরে গলায় দড়ি দেন আরও এক হকার। চরম দারিদ্রতার শিকার হয়ে যখন হকারদের এই পরিস্থিতি, তখন হকারির নামে ব্যবসা ফেঁদে ফ্ল্যাট, গাড়ি, সম্পদের মজা নিচ্ছেন তথাকথিত এক শ্রেণির ‘ভুয়ো’ হকার। হাওড়া, শিয়ালদহ-সহ শহরতলীর ব্যস্ত স্টেশনগুলিতে এক শ্রেণির হকার একটার বদলে পাঁচ থেকে দশটা ডালার মালিক। তাতে ভিন্ন ভিন্ন সামগ্রী। ডালা রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে কর্মী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, হামলার আশঙ্কায় অভিযোগ দায়ের করতেই তৃণমূল নেতার বাড়ি বোমাবাজি]

ট্রেনেও অসংখ্য রানিং হকার রয়েছেন। বাদাম, চানাচুর, চিপস, সনপাপরি, চালভাজা ফেরি করেন। এরা প্রকৃত হকার নয়, পেইড স্টাফ। বেশ কয়েকঘন্টা ট্রেনে ফেরি করে দু, তিনশো টাকা পান। নিম্নবিত্ত এই মানুষগুলো চান, প্রকৃত হকাররা রুটি-রুজির সন্ধান পান। তাঁদের কথায়, এক শ্রেণির ‘ভুয়ো’ ফেরিওয়ালা ব্যাবসা ফেঁদে রয়েছেন। বাহুবলে একছত্র আধিপত্য চালাচ্ছেন হাওড়া, শিয়ালদহ-সহ বড় স্টেশনগুলিতে। এদের এক এক জনের হেফাজতে নির্ধারিতভাবে থাকে বেশ কিছু ট্রেন। যাতে তাদের মাল বিক্রি করে থাকে পেইড স্টাফরা। যাঁদের যাত্রীরা হকার বলেই চেনেন। সেই ট্রেন হকাররা ধরা বা সমস্যায় পড়লে ছড়ানোর দায়িত্ব সে বাহুবলি হকারের। তিনিই আরপিএফ থেকে জিআরপি সবার সঙ্গে গাঁটছড়া বাধার দায়িত্বে থাকেন। এই মৌরসিপাট্টার যুগ আনলক পিরিয়ডে খতম হোক চান ছোট হকাররা। তৃণমূল পরিচালিত পূর্ব রেলের হাজার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ব্যাপী ঘোষ এই সিস্টেমে সরাসরি যুক্ত আরপিএফ, জিআরপি বলে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, এদের বকলমে একাধিক ডালা, স্টল রয়েছে। বহু স্টেশনে এমন বহু বেআইনি ভেন্ডার স্টল রয়েছে যেগুলো বহু বছর রিনিউ হয়নি। বন্ধের জায়গায় তা রমরমিয়ে চলছে এই প্রশাসনিক কর্মীদের মদতে। ট্রেন, বিভিন্ন স্টেশন ও স্টেশন চত্বরে পূর্ব রেলের মধ্যে প্রায় দশ লাখ হকার রয়েছেন। তৃণমূল শ্রমিক সাংগঠনের সভানেত্রী দোলা সেন বৃহস্পতিবার জানিয়ে ছিলেন, রাজ্যে তাঁদের এক লক্ষ রেল হকার রয়েছে।

সাধারণ হকারদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কেউ ক্ষীর খাবে তা চলতে পারে না বলে জানান হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এই সুযোগ সন্ধানীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বান্ডেল-কাটোয়া হকার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত মোদক এই সিস্টেমের বিরোধিতা করে বলেন, আমাদের লাইনে তাদের ইউনিয়নের সদস্য সত্তর জন। কেউ কেউ হকারি শুরুও করেছেন। তবে এই একচেটিয়া ক্ষমতাবান হকার তাদের লাইনে নেই। থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ে হবে।

[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মানেন না’, আক্রমণ বাবুলের, পালটা তোপ সৌগতর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement