অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: জেলের পাঁচিল টপকে পালিয়ে শ্বশুরবাড়িতে হামলা। হামলার অভিযোগ উঠল বিচারাধীন বন্দির বিরুদ্ধে। পলাতক বন্দির নাম শেখ ইসরাইল। বধূ নির্যাতনের অভিযোগেই জেলে ছিল সে। গত বুধবার সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায় ওই বন্দি। পালিয়ে সোজা ডোমজুরে শ্বশুরবাড়িতে চলে যায়। অভিযোগ, পলাতক বন্দি ইসরাইল শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মারধর করে। তারপর নগদ টাকা ও এটিএম কার্ড নিয়ে উধাও হয়ে যায়। ভোররাতের দিকে গুণধর জামাইয়ের এহেন কীর্তিতে যারপরনাই আতঙ্কিত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। দুপুরের পরে ডোমজুর থানায় জামাই ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে হাওড়া মল্লিকফটকের সংশোধনাগার থেকে বিচারধীন বন্দি পালানোর ঘটনায় উত্তাল জেল চত্বর। ঘটনার খবর পেয়ে হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে ছুটে আসেন ডিআইজি কারা বিল্পব দাস-সহ অন্য পদস্থ আধিকারিকরা। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কীভাবে সংশোধনাগারের কড়া নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ওই বন্দি পালিয়ে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[অগ্নিকাণ্ডের জের, মেডিক্যাল কলেজে রোগী ভরতিতে নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের]
উল্লেখ্য, ডোমজুড় থানার বধূ নির্যাতনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি শেখ ইসরাইল চণ্ডীতলার মামুদপুরের বাসিন্দা। মাস দুয়েক হল জেল হেফাজতে হাওড়া সংশোধনাগারে ছিলেন। এদিন সকালে সংশোধনাগারের সুপারের অফিসে কাজ করার সময়ে সে পালিয়ে যায়। জেলের রেনপাইপ বেয়ে ওই বিচারাধীন বন্দি সংশোধনাগারের প্রায় ৩০ফুট উঁচু পাঁচিলের মাথায় উঠে পড়ে। সেখান থেকেই সংশোধনাগারের বাইরে লাফিয়ে পড়ে ভিড়ে মিশে যায় সে। তারপর দিনভর লুকিয়ে থাকার পর রাতে শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালায়। এদিকে গোটা রাতে বন্দি পালানোর খবর কেউই জানতে পারেনি। সকালে সকালে বন্দিদের গোনার সময়ে সংখ্যায় একজন কম পড়তেই বিষয়টি নজরে আসে। বন্দি পালানোর ঘটনা জানাজানি হতেই সাইরেন বেজে ওঠে। সেই আওয়াজ শুনেই কারারক্ষীরা তল্লাশি শুরু করেন।
[সাউথ সিটি মলের সামনে বোমাতঙ্ক, ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াড]
বেলার দিকে সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দিদের দুপুরের খাবার দিতে আসা লোকজন জানান, আগের দিন দুপুরে তাঁরা একজনকে সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন। এদিকে বন্দি পালানোর জেরে সংশোধনাগারে দুপুরের খাবার দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরই মাঝে হয়রানির শিকার হন বন্দিদের আত্মীয়রা।