গোবিন্দ রায়: ফি ইস্যুতে ফের আদালত ধাক্কা খেল জিডি বিড়লা (G D Birla School)। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, বেতন বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে বন্ধ রাখা যাবে না স্কুল। আদালতের রায়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবক সকলেই।
এর আগেও আদালতের তরফে বেসরকারি স্কুলগুলিকে (Private Schools) একই নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সে কথা মানেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, ‘ফি না দিলে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’ এমনকী আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে কলকাতার ৫ বেসরকারি স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এবার সেই নোটিস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি, ১৪৫টি বেসরকারি স্কুলের বকেয়া ফি নিয়ে দ্বন্দ্ব মেটাতে স্পেশ্যাল অফিসার নিয়োগ করেছিল আদালত। আগামী ৬ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, আনিস খানের বাবাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]
জিডি বিড়লা কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানিয়েছিল, যে সমস্ত পড়ুয়া ১০০ শতাংশ ফি মিটিয়েছে, তারাই শুধুমাত্র ক্লাস করার অনুমতি পাবে। অর্থাৎ যারা ফি-র ৮০ শতাংশ দিয়েছে, তারাও ক্লাস করতে পারবে না। এর বিরোধিতায় মামলা হয় হাই কোর্টে। ৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, বেসরকারি স্কুলে ফি বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের ক্লাস করা আটকানো যাবে না।
নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্পষ্ট জানান, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, শিক্ষা মৌলিক অধিকার। কিন্তু হাই কোর্টের সেই রায় না মেনে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজের অবস্থানে অনড় থাকে। জানানো হয়, সোমবার থেকে স্কুল খুললেও, বকেয়া ফি না মেটালে ক্লাসে প্রবেশাধিকার নেই। এবার ফের ধাক্কা খেল স্কুল কর্তৃপক্ষ।