সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাব পুলিশের হেফাজতে থাকার সময়ই ২০২৩ সালে দুটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। এই নিয়ে আদালতে যে মামলা গড়িয়েছে এবার তাতেই নয়া নির্দেশ পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের। উচ্চ আদালতের নির্দেশ নতুন সিট গঠন করে নতুন করে তদন্ত করতে হবে।
এদিন আদালতের তরফে বলা হয়েছে, ''পুলিশ আধিকারিকরা অনুমতি দিয়েছিলেন ওই অপরাধীকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার। রীতিমতো স্টুডিওর মতো পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল সাক্ষাৎকারের সময়। যার উদ্দেশ্য অপরাধকে গরিমাময় করে তোলা যা অন্য তোলাবাজির মতো নানা অপরাধকে উসকানি দেয়।'' সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে, নিচু স্তরের অফিসারদের 'বলির পাঁঠা' করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে মাত্র দুজন গেজেটেড অফিসার। বাকিরা সকলেই জুনিয়র আধিকারিক। পুরো বিষয়টি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবৎ মানের নজরে এনেছে আদালত।
প্রায় তিন দশক আগে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন খান। একাধিকবার বলিউডের ভাইজানকে খুনের হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সম্প্রতি বাবা সিদ্দিকিকে খুনের দায়ও স্বীকার করেছে তারা। শুধু দেশে নয়, বিদেশের মাটিতেও কুখ্যাত কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত বিষ্ণোই। সম্প্রতি শোনা গিয়েছে, ‘লরেন্স- আ গ্যাংস্টার’ স্টোরি নামে একটি ওয়েব সিরিজ তৈরি হবে। এই সিরিজে লরেন্সের যাবতীয় কুকীর্তি তুলে ধরা হবে। এর মধ্যেই মামলার সূত্রে নতুন করে চর্চায় পুরনো সাক্ষাৎকার মামলা। এই মুহূর্তে গুজরাটের সবরমতী জেলে রয়েছে বিষ্ণোই।