সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে মারা গিয়েছে ২ বছর আগে। এই পরিস্থিতিতে সন্তানের সংরক্ষিত শুক্রাণু (Sperm) সারোগেসির জন্য ব্যবহার করতে চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ অভিভাবকরা। এবিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের মতামত চাইল আদালত।
জানা গিয়েছে, পিটিশন দাখিলকারীদের একমাত্র সন্তানের ক্যানসার ধরা পড়ে ২০২০ সালে। কেমোথেরাপি শুরুর আগেই তিনি নিজের শুক্রাণু সংরক্ষিত করে রাখেন। ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরই মৃত্যু হয় ৩০ বছরের অবিবাহিত যুবকটির। সেই সময় থেকেই দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে আইভিএফ ল্যাবে সংরক্ষিত রয়েছে মৃত ব্যক্তির শুক্রাণু। কিন্তু ওই সংরক্ষিত শুক্রাণু ওই অভিভাবককে দিতে নারাজ সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল। সেই শুক্রাণুর অধিকার চেয়েই আদালতের দ্বারস্থ হতভাগ্য অভিভাবকরা।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে স্বস্তি নেই’, কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের]
তাঁরা চান, সারোগেসির জন্য ব্যবহৃত হোক তাঁদের ছেলের শুক্রাণু। যাতে অকালপ্রয়াত সন্তানের উত্তরাধিকারী থেকে যায় পৃথিবীতে। নিজের সন্তানের চিহ্নকে পৃথিবীর বুকে টিকিয়ে রাখতেই তাঁরা দ্বারস্থ আদালতের।
কিন্তু কেন সংরক্ষিত ওই বীর্য ফেরত দিতে অস্বীকার করছে দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? তাঁদের দাবি, অবিবাহিতের বীর্যে কার অধিকার সে সম্পর্কে কোনও আইনেই স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। সেই কারণেই তা ফেরত দিতে অপারগ তারা। এরপরই বিষয় গড়িয়েছে আদালত। এবার হাই কোর্ট কেন্দ্রের মত জানতে চাইল এবিষয়ে। আগামী বছরের ১৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিলাসবহুল ঠিকানা থাকতেও মুম্বইতেই নতুন ফ্ল্যাট নিলেন বিরুষ্কা, জানেন ভাড়া কত লক্ষ টাকা?]
আসলে এদেশে মৃত অবিবাহিতের বীর্যের অধিকার নিয়ে আইন কিংবা রাজনৈতিক বক্তব্য বা কিছুই নেই। এই ধোঁয়াশার কারণেই আদালত প্রশাসনিক মতামতকে গুরুত্ব দিতে চাইছে। মৃতের পারিবারিক আইনজীবী দাবি করছেন, এই বীর্য ফেরত দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতের পরিবারের অধিকারভঙ্গ করছে। তাঁর যুক্তি, যেহেতু ওই যুবকের মরদেহের একমাত্র দাবিদার তাঁর পরিবারই, তাই এভাবে ওই হিমায়িত বীর্য থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যায় না।