সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা দেখে চমকে উঠল খোদ ওই রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ। মাথায় চোট পাওয়া এক মহিলাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। জেলা হাসপাতালের ডাক্তাররা দেখেন রক্ত বন্ধ করার জন্য রোগীর মাথায় গজ-ব্যান্ডেজের সঙ্গে কনডোমের খালি প্যাকেটও সেঁটে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সাসপেন্ড করা হয়েছে দোষীকে।
জানা গিয়েছে, মোরেনার পোরসা কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে এসেছিলেন রেশমা বাঈ নামের এক মহিলা। দ্রুত তাঁর রক্তক্ষরণ বন্ধের ব্যবস্থা করেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত এক চিকিৎসক ও তাঁর সহকারী। সেই সময় গজ-ব্যান্ডেজের পাশাপাশি একটি কনডোমের খালি প্যাকেট সেঁটে দেওয়া হয় রেশমার মাথায়। বিষয়টি জানাজানি হয় রোগীকে মোরেনা জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে। সেখানকার চিকিৎসক ক্ষতস্থান নতুন করে ড্রেসিং করতে গিয়ে দেখেন কনডোমের মোড়ক দিয়েই ব্যান্ডেজ করা হয়েছে মাথায়।
[আরও পড়ুন: ‘গাড়ি কিনবেন না, কাউকে পা ছুঁতে দেবেন না’, দলের ভাবমূর্তি শোধরাতে একগুচ্ছ নির্দেশ তেজস্বীর]
বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়চড়ে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও সহকারী এই ঘটনা ঘটায়। এই বিষয়ে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রাকেশ মিশ্রা বলেন, “ধরমগড় থেকে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন মহিলা। ডাঃ ধর্মেন্দ্র রাজপুত এমারজেন্সি ডিউটিতে ছিলেন। সঙ্গে ওয়ার্ড বয় ছিলেন অনন্ত রাম। ক্ষতস্থানের রক্তবন্ধ করার জন্য সহকারী ওয়ার্ড বয়ের কাছে দ্রুত কার্ড বোর্ডের মতো কিছু চান চিকিৎসক। চিকিৎসককে কার্ড বোর্ডের বদলে কনডোমের প্যাকেট দেয় অনন্ত রাম। এর ফলেই যাবতীয় গোলমাল ঘটে।
[আরও পড়ুন: মদ্যপানে বাধা দেন বাড়িওয়ালা, হাতুড়ি মেরে খুন করে সেলফি তুলল ভাড়াটে]
এই ঘটনায় পোরসা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক নরোত্তম ভার্গব আগে জানিয়েছিলেন, “আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি কোনও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ওই মহিলাকে রেফার করা হয়েছিল কিনা, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” ঘটনা যে বেসরকারি হাসপাতালে ঘটেনি, বরং সরকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ঘটেছে, তা এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার পর অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার।