সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনপ্রিয় পর্যটনস্থল নয়, দুর্গম থেকে দুর্গমতর এলাকা খুঁজে সেখানে যাওয়া অনেক পর্যটকের নেশা। সেই অ্যাডভেঞ্চারের টানে অনেকে সেই নেশাকেই পেশা করে ফেলেছেন। সেসব অভিযাত্রীদের সামনে অন্যতম এক রোল মডেল 'ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড' খ্যাত সঞ্চালক বিয়ার গ্রিলস নিঃসন্দেহে। প্রাথমিকভাবে তিনি তো অভিযাত্রী। ৫১ বছর বয়সেও বিয়ার গ্রিলসের 'ফিটনেস' এবং সক্রিয়তা ঈর্ষণীয়। তুফানি সমুদ্র হোক কিংবা এবড়োখেবড়ো পাথরঘেরা, দুর্গম গিরিখাত বা রহস্যঘেরা জঙ্গল - প্রত্যেক জায়গায় গ্রিলের স্বতঃস্ফূর্ত প্রবেশ আর ভ্রমণ চমক দেয় না, এমনটা বোধহয় প্রায় নেই। কিন্তু কোন ম্যাজিকে এই বয়সে নিজের এমন 'তারুণ্য' ধরে রেখেছেন ব্রিটিশ অভিযাত্রী, তা জানলে আরও চমকে যাবেন। সাধারণ ভাত, আলুসেদ্ধ, ডিমেই এত শক্তি! সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজের রোজকার ডায়েটের কথা খুলে বলেছেন বিয়ার গ্রিলস।
সকাল থেকে রাত - সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারদাবারেই ভরসা রাখেন ৫১ বছরের ব্রিটিশ অভিযাত্রী। তাঁর মন্ত্র একটাই, পর্যাপ্ত হাই প্রোটিন আর সাধারণ কার্বোহাইড্রেট। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে অল্প অল্প খাবার খেয়ে সারাদিন এত তরতাজা বিয়ার গ্রিলস। ঘরে এবং বাইরে - একই রুটিন তাঁর। আর খাওয়াদাওয়া এতটাই সাধারণ যে অতি দুর্গম স্থানেও তা সহজলভ্য। ফলে অভিযান কিংবা শুটিংয়ে গেলে সমস্যা হয় না। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, সারাদিন কী কী খান বিয়ার গ্রিলস।
প্রাতরাশ
মাখনমাখা ৩, ৪টি ডিম
প্রোটিন পাওডার মিশ্রিত ইওগার্ট, সঙ্গে মধু দেওয়া বেরি
টাটকা কমলালেবুর রস
এসব খাবার সকাল সকাল শরীরে অনেকটা প্রোটিন দেয়। সেইসঙ্গে কিছুটা ফ্যাট এবং দিন শুরু করার মতো পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট, যা সারাদিনের কাজে অল্প অল্প করে খরচ হবে।
মধ্যাহ্নভোজ
বিশ্বাস করতে খানিকটা অসুবিধা হলেও এটাই সত্যি যে বিয়ার গ্রিলসের দুপুরের খাবার একেবারে আমাদের মতোই - সাদা ভাত, আলুসেদ্ধ, সঙ্গে সামান্য মধু। গ্রিলসের মতে, সাধারণ আলুসেদ্ধ এবং মধু খেলে দিনভর তরতাজা থাকা যায়।
নৈশভোজ
বিয়ার গ্রিলসের নৈশভোজের মেনু আরও সাধারণ ও সহজপাচ্য। চিজ এবং সি-সল্ট মিশ্রিত একটি স্টেক কিংবা বড়সড় আলুসেদ্ধ। ব্যস, এটুকুই। আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটা বিশেষ স্মুদি। কাঁচা দুধে প্রোটিন পাউডার মিশিয়ে তাতে কলা, মধু এবং কিছুটা বরফ দিয়ে তৈরি হয় ওই স্মুদি। ওই তরল যেমন দ্রুত হজম হয়, তেমনই ভারী হওয়ায় সারারাত পেট মোটামোটি ভর্তি থাকে। এছাড়া কাঁচা দুধ শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান দেয় প্রাকৃতিকভাবে। বিয়াল গ্রিলসের মত, যে খাবার খেয়ে সবচেয়ে আরাম পাওয়া যায় এবং হজম করতেও সমস্যা হয় না, সেটাই দিনের শেষ খাবার হওয়া উচিত।
আপনিও যদিও বিয়ার গ্রিলসের মতো ফিটনেস চান, তাহলে আর দেরি কেন? সবই তো জেনে নিলেন। এবার শুধু এই ডায়েট চার্ট অনুসরণ করার পালা।
