সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুষ্টিগুণের বিচারে পালং শাকের দারুণ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে! এটি ভিটামিন, মিনারেল আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ক্যানসার এবং ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগেও দারুণ উপকারী। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, এই উপকারী শাকটিও কিছু রোগের ক্ষেত্রে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই চিকিৎসকরা কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় পালং শাককে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।
কোন কোন রোগে পালং শাক খাবেন না?
১) কিডনিতে পাথর: এটিই সবচেয়ে বড় বিপদ। পালং শাকে অক্সালেট নামক একটি উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে। অক্সালেট শরীরে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর তৈরি করে। যাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা আছে বা একবার হয়ে গিয়েছে, তাদের জন্য পালং শাক বিষের সমান।
২) গেঁটে বাত বা গাউট: এই রোগে শরীরের জয়েন্টগুলিতে ইউরিক অ্যাসিড জমা হয়ে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। পালং শাকে পিউরিন নামক উপাদান থাকে। শরীরে পিউরিনের পরিমাণ বাড়লে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বাড়ে, যা বাতের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে তোলে।
৩) রক্ত পাতলা করার ওষুধ চললে: যদি কেউ রক্ত পাতলা রাখার ওষুধ (যেমন ওয়ারফারিন) খান, তবে পালং শাক খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন K থাকে। ভিটামিন K রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে, যা রক্ত পাতলা করার ওষুধের কার্যকারিতাকে মারাত্মকভাবে কমিয়ে দেয়। এর ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৫) হজমের সমস্যা: কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পালং শাকে থাকা ফাইবার বা ফ্রুক্টোজ হজমের সমস্যা বাড়াতে পারে, যেমন পেট ফাঁপা বা গ্যাস অম্বল। হজমের সমস্যায় পালং শাক এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
তাই সুস্থ থাকতে পালং শাক খান, কিন্তু নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে। কারণ, মহৌষধও ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষতিকর হতে পারে।
