সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন খারাপ? কিছুই ভালো লাগছে না? মন ও মেজাজ কেমন থাকবে তা কিন্তু ঠিক করে দেয় পেট। কী, শুনে অবাক হচ্ছেন তো? গবেষকরা মস্তিষ্ক ও পেটের এমনই এক বন্ধুত্বের কথা সম্প্রতি খোলসা করেছেন। আজ্ঞে, ঠিকই শুনছেন। ব্যাপারটা মোটেই হেলাফেলার নয়। অন্ত্রের স্বাস্থ্য সরাসরি আমাদের আবেগের উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এমনটাই দাবি গবেষকদের। হঠাৎ করে মেজাজ হারানো, কিংবা ফুরফুরে মন বা অত্যধিক দুশ্চিন্তা- সবকিছুর সঙ্গেই যোগ রয়েছে পেটের। মুড সুইংয়ের নেপথ্যে মস্তিষ্ক ও পেটের গভীর আঁতাত।
মণিপাল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ প্রতাপ বেহেরা জানাচ্ছেন, অন্ত্রকে ‘শরীরের দ্বিতীয় মস্তিষ্ক’ বলা হয়। কারণ এতে নাকি কোটি কোটি স্নায়ুকোষ ও ব্যাকটেরিয়ার জটিল বাস্তুতন্ত্র গড়ে ওঠে। অন্ত্র সারাক্ষণ মস্তিষ্কের সঙ্গে কথা বলে। এই যোগাযোগ ভ্যাগাস নার্ভ এবং বিভিন্ন হরমোনের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
আমাদের আনন্দের অনুভূতি বা ‘ফিল-গুড’ রাসায়নিক হল সেরোটোনিন। অবাক করা বিষয়, এই সেরোটোনিনের প্রায় ৯০ শতাংশ তৈরি হয় অন্ত্রে। ডাঃ বেহেরা বলছেন, অন্ত্রের স্বাস্থ্য খারাপ হলে এর উৎপাদন কমে যায়। এতে একজন মানুষ সহজে বিষণ্ণ বা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ফলে মেজাজ বিগড়ে যায় সহজেই। তাই মানসিক সুস্থতার জন্য পেটের খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
এই সমস্যা থেকে বাঁচতে কিছু অভ্যাস জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন। ফাইবারযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি করে খান। নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করুন। এছাড়া, প্রোবায়োটিকস জাতীয় খাবার খেলে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ভালো থাকে। চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান। মন ভালো রাখতে অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে হবে। নচেৎ ভুগতে হবে দুঃখ-যন্ত্রণায়।
