সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স মোটে সতেরো। অথচ দিনরাত কেশে যাচ্ছে। আবার কখনও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কাশির কারণ জানতে ঘনঘন চিকিৎসকের কাছে গিয়েছে। চিকিৎসকও ভুরি ভুরি অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন। কেউ দিয়েছেন কাফ সিরাপ। আবার কেউ অ্যান্টি অ্যালির্জিক ওষুধ দিয়েছেন। তাতে লাভ হয়নি। হাজারও পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায় হার্টের অসুখ নয়। 'পপকর্ন লাংস'-এর মতো ফুসফুসের বিরল রোগে ভুগছে সে। আর এই রোগই এখন চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় 'পপকর্ন লাংস' রোগটিকে 'ব্রঙ্কিওলাইটিস অবলিটেরানস' বলা হয়। কেন ফুসফুসের বিরল রোগটি 'পপকর্ন লাংস' নামে পরিচিত? পপকর্ন মাইক্রোওয়েভে তৈরির সময় ডায়াসিটাইল নামে একটি রাসায়নিক নির্গত হয়। ওই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুসের সংক্রমণ হয়। তাই এই রোগটি 'পপকর্ন লাংস' নামে পরিচিত। চিকিৎসরা জানান, যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান করেন তাঁরা এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন।
'পপকর্ন লাংস'-এর উপসর্গ
১. কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
২. বমি ভাব
৩. দুর্বলতা
৪. শ্বাসকষ্ট
আমেরিকার নেভাডার বাসিন্দা ব্রায়ান কালেন কীভাবে আক্রান্ত হল 'পপকর্ন লাংস'-এর মতো বিরল রোগে? জানা গিয়েছে, চোদ্দ বছর বয়স থেকে সে ই-সিগারেটের নেশাসক্ত হয়ে পড়ে। তার ফলে প্রায় প্রতিদিনই সে ব্যাটারিচালিত যন্ত্রের সাহায্যে ভেপার নিত। ভেপিংয়ের ফলে অ্যাসিটালডিহাইড নামে এক যৌগ তার ফুসফুসে প্রবেশ করত। তার ফলে ক্ষতি হয়েছে ফুসফুসের। সে কারণে এমন বিরল রোগে কিশোরী আক্রান্ত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। বলে রাখা ভালো, কিশোরী এর আগে করোনাতেও আক্রান্ত হয়। সেই সময় চিকিৎসক তাকে ই-সিগারেটের নেশা ছাড়তে বলেন। তবে সে পরামর্শ কান দেয়নি কিশোর। সে কারণেই সম্ভবত অতি দ্রুত ফুসফুসের সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করে বলেই দাবি চিকিৎসকদের। এই বিরল রোগ কারও কারও প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। তাই চিকিৎসকদের মতে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধূমপানের মতো কুঅভ্যাস ছেড়ে দেওয়াই ভালো।