সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস চোখ রাঙাচ্ছে। নতুন বছরে ভারতেও একইরকমের সংক্রমণের খবর মিলল। সোমবার বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ থেকে এখনও পর্যন্ত তিন শিশু আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসেছে এ রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। সূত্রের খবর, শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিতে চলেছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাকালের মতো ফের দূরত্ব বজায়, ভিড় এড়ানোয় জোর দিতে চাইছেন তাঁরা। দেশে আক্রান্তদের সংখ্যা ১০ ছাড়ালেই বিশেষ সতর্কতা জারির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তাতেই আমজনতার মনে প্রশ্ন, আবার কি তবে কোভিডের মতো পরিস্থিতি হতে চলেছে?
ভারতে HMPV-র সংক্রমণের কথা মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে এদিন বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরু ও আহমেদাবাদে আক্রান্ত শিশুদের দেহে ভাইরাসটি মিললেও সেটি চিনা ভ্যারিয়েন্টের মতো বিপজ্জনক নয়। তাদের সাম্প্রতিক অতীত খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, আক্রান্ত শিশুরা কেউ সম্প্রতি বিদেশে যায়নি। তাই চিনা প্রজাতি সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। রবিবারই কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যদপ্তরও কি সে পথেই হাঁটবে?
সূত্রের খবর, সতর্কতা অবলম্বনে তিনটি বিষয়ে জোর দিতে চান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ৫ বছরের কমবয়সি শিশু এবং পঁয়ষট্টি ঊর্ধ্ব নাগরিকদের দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় যানবাহনে গেলে মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ২০০১ সালে দেশের HMPV সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। তবে ধীরে ধীরে তার প্রভাব স্তিমিত হয়েছে। কিন্তু এবার ফের সেই আতঙ্ক ফিরছে। বলা হচ্ছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের কোনও অ্যান্টিবায়োটিক নেই। সাবধানতা অবলম্বনই একমাত্র বড় অস্ত্র। স্বাস্থ্যদপ্তর কি এবার কোনও নির্দেশিকা দেবে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।