সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীত এলেই দূষণের পাল্লা ভারী হয়। এই সময় নানারকম অসুখে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বাড়ির ছোট ও বয়স্ক ব্যক্তিদের। দূষণের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রাণায়াম, পুষ্টিকর খাবার কিংবা মাস্ক পরার মতো সতর্কতা অবলম্বন করেন অনেকেই। এক্ষেত্রে ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষায় কিছুটা সতর্ক থাকা যায়। কিন্তু চোখের ক্ষতিকে কীভাবে আটকাবেন? বিশেষ করে শহুরে এলাকা কিংবা শিল্পাঞ্চলগুলোতে দূষণের জেরে চোখজ্বালা, চোখ শুকিয়ে যাওয়া বা চোখে (Eye Care) অস্বস্তি এসব লেগেই থাকে। এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতে কী করবেন?
দূষণ কীভাবে চোখের ক্ষতি করে?
বাতাসে থাকা সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইডের মতো গ্যাস চোখের জলস্তরকে নষ্ট করে দেয়। শীতের বাতাসে ভাসতে থাকা ধূলিকণা PM2.5, কার্বন মনোক্সাইড প্রভৃতি চোখের ত্রিস্তরীয় আস্তরণের ক্ষতি করে। এতে চোখ জ্বালা করা, অনবরত জল পড়া এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। দীর্ঘক্ষণ দূষণে থাকলে চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকী দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। কমে যায় অশ্রু উৎপাদন। এতে চোখের সংক্রমণ বাড়ে। অ্যালার্জির দরুণ কনজাঙ্কটিভাইটিস প্রভৃতি দেখা দেয়।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
১) বাইরে বেরোলে অবশ্যই বড় ফ্রেমের রোদচশমা বা প্রোটেক্টিভ গিয়ার ব্যবহার করুন। এটি সরাসরি ধুলোবালি চোখে ঢুকতে বাধা দেয়।
২) বাইরে থেকে ফিরেই পরিষ্কার ও ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এতে চোখে জমে থাকা দূষিত কণা বেরিয়ে যায়।
৪) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভালো মানের টিয়ার ড্রপ বা লুব্রিকেন্টিং ড্রপ ব্যবহার করুন। এটি চোখকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
৫) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, বাদাম এবং সবুজ শাকসবজি খান। এগুলো চোখের অশ্রুগ্রন্থিকে সচল রাখে।
৬) দূষণের পাশাপাশি মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিন চোখের শুষ্কতা বাড়ায়। তাই কাজের মাঝে ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চোখকে বিশ্রাম দিন।
চোখ হল দেহের প্রদীপ। দূষণের এই আবহে সামান্য অসাবধানতা চিরস্থায়ী ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই ছোট বা বড় যেকোনও সমস্যা দেখা দিলেই দেরি না করে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সচেতনতাই পারে আপনার মূল্যবান দৃষ্টিকে রক্ষা করতে।
