shono
Advertisement
Prescription Plus

শীত এলেই মন খারাপের ঢেউ! 'স্যাড'-এ আক্রান্ত নন তো? কখন ডাক্তার দেখাবেন?

জানুন প্রতিরোধের উপায়।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 06:56 PM Dec 17, 2025Updated: 07:21 PM Dec 17, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকাল! অনেকের কাছে মন খারাপের মরশুম। কেন? এই সময় না কি মন খারাপের একঘেয়েমিতে ভোগেন অনেকেই! এমনকী বিছানা ছাড়তে কষ্ট হওয়া, সারাদিনের ক্লান্তি, একাকিত্ব ও বিষণ্ণতা কুড়ে কুড়ে খেতে থাকে। কিন্তু একরকম জেনেশুনে এগুলোকে উপেক্ষা করে যাই আমরা। কারণ আমাদের কাছে এগুলো শীতের অলসতা বলে মনে হয়। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। এগুলি আসলে সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিসঅর্ডার বা 'স্যাড'-এর লক্ষণ।

Advertisement

কী এই 'স্যাড'?
শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকার ফলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক বায়োলজিক্যাল ক্লক বিঘ্নিত হয়। এর ফলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন—সেরোটোনিন ও মেলাটোনিনের মাত্রায় পরিবর্তন আসে। সেরোটোনিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় মন খারাপ হয়। আর মেলাটোনিনের মাত্রা বাড়লে অতিরিক্ত ঘুম ও ক্লান্তি তৈরি হয়। এছাড়াও শীতকালে রোদের অভাব এবং ঘরে বেশিক্ষণ সময় কাটালে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিও এই রোগেটিকে প্রভাবিত করে।

লক্ষণগুলি কী কী?
স্যাড-এ আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণত বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। এর মধ্যে প্রধান হল—
১ ) সারাদিন মন ভার বা খালি খালি লাগা।
২) আগে যে কাজগুলিতে আনন্দ পাওয়া যেত, তাতে আগ্রহ কমে যাওয়া।
৩) শক্তি ও উদ্যম কমে যাওয়া, সারাদিন অলস ভাব।
৪) অতিরিক্ত ঘুম বা সারাদিন তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকা।
৫) মিষ্টি বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের প্রতি তীব্র ঝোঁক।
৬) ওজন বেড়ে যাওয়া।
৭) কোনও বিষয়ে মনোযোগ দিতে অসুবিধা।
৮) নিঃসঙ্গতা, অপরাধবোধ তৈরি হওয়া।

শীতকালে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে গ্রীষ্মকালে কিছু মানুষের মধ্যে এর উলটো প্রভাব দেখা যায়। গ্রীষ্মকালীন স্যাড-এর লক্ষণগুলির মধ্যে অনিদ্রা, কম খিদে, উদ্বেগ ও খিটখিটে মেজাজ প্রধান। বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে স্যাড-এর ঝুঁকি বেশি থাকে।

কখন সতর্ক হবেন?
যদি এই মন খারাপ বা বিষণ্ণতা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে, ঘুমের ধরনে বা খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসে, অথবা কোনও কাজে আগ্রহ না পান, তবে দ্রুত একজন মনোবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। যদি হতাশা বাড়ে বা আত্মহত্যার চিন্তা আসে, তবে দ্রুত হাসপাতালে যান।

প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?
স্যাড মোকাবিলায় জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আশু প্রয়োজন।
১) দিনের বেলায় অন্তত ২০-৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে সময় কাটান।
২) ঘরে যথেষ্ট পরিমাণে সূর্যের আলো থাকা বাঞ্ছনীয়।
৩) প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম করুন।
৪) ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
৫) বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখুন।
) সকলের সঙ্গে মিশুন। গল্প করুন। কথা বলুন।
৭) অলস করে না রেখে নিজেকে ব্যস্ততায় রাখুন।

সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে লাইট থেরাপি, সাইকোথেরাপি এবং প্রয়োজনে ওষুধের মাধ্যমে এই মরশুমি বিষণ্ণতা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকার ফলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক বায়োলজিক্যাল ক্লক বিঘ্নিত হয়।
  • স্যাড-এ আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণত বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়।
  • এই সমস্যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের কাছে যান।
Advertisement